আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : আগৈলঝাড়ার পয়সারহাট বন্দরে অগ্নিকাণ্ডে ৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়ে দুই কোটি টাকার উপরে ক্ষতি হয়েছে। আগুনে ওই মার্কেটের অপর ৮টি ব্যবসা প্রতিষ্টানেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে হতাহতর কোন খবর পাওয়া যায়নি। উপজেলা, পুলিশ প্রশাসন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দরা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। ক্ষয়-ক্ষতির তালিকা নিরুপন করেছে ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয়।

শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত ঘঠে। আগুনের লেলিহান শিখা মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পরে ৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ভস্মিভ’ত হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে আরও ৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। খবর পেয়ে গৌরনদী, বরিশাল ও গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসার আগেই দোকানগুলো চোখের সামনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুন লাগার ঘটনায় গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন বন্ধ করে দেয়া হয়।

অগ্নিকানণ্ডে সম্পূর্ণ ভস্মিভূত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো মার্কেটের জসীম দাড়িয়ার কাপরের দোকান, জাহাঙ্গীর সিকদারের টিনের দোকান, আশিক দাড়িয়ার হার্ডওয়ার দোকান, আলিম শেখের মুদি দোকান, সুজন শেখের কসমেটিক্স দোকান, রফিক টেইলার্স, মিরাজের কাপড়ের দোকান, সেলিম তাজ গ্যাস ও সিলিন্ডারের দোকান।

আগুনে এসকল দোকান পুড়ে পাশ্ববর্তি আরও ৭টি দোকানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আনুমানিক ক্ষতির পরিমান দুই কোটি টাকার উপরে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সাতটার দিকে মার্কেটের কোন এক দোকান থেকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়। মার্কেটে গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান থাকায় মুহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পরে। একারণে লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হয়। খবর পেয়ে গৌরনদী, বরিশাল ও গোপালগঞ্জ ফায়ারসার্ভিসের ৩টি ইউনিট ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রাত নয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।
আগুন লগার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপেজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আফজাল হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ, সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ লিটন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, বন্দর সভাপতি ও বাকাল ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল দাস, যুবলীগ সভাপতি সাইদুল সরদার, সাধারন সম্পাদক অনিমেষ মন্ডলসহ আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।

উপেজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস জানান, শুক্রবার সকালে ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রলালয়ের অধীনে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে ক্ষয়-খতির তালিকা নিরুপন করা হয়েছে। তাতে ক্ষতির পরিমান ১কোটি ৫৬লাখ ৫০ হাজার টাকা। ক্ষতির তালিকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রেরন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়িরা সরকারী সহযোগিতার আওতায় আসবে বলেও জানান তিনি।

(টিবি/এসপি/জানুয়ারি ২৬, ২০১৯)