বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের কচুয়ায় মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে শাখারীকাঠি বাজারে গনহত্যা, ধর্ষন ও বাড়ীতে অগ্নিসংযোগসহ ৬টি সুনির্দিষ্ট অপরাধে ৮শ ১৯ জনকে হত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতা বিরোধী মামলার পলাতক আসামী বাগেরহাটের কসাইখ্যাত কুখ্যাত রাজাকার কমান্ডার সিরাজুল হক ওরফে সিরাজ মাস্টারকে (৭৪) সোমবার রাত ১১ টায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা গ্রামে তার চাচাশ্বশুর মৃত. মোসলেম পাইকের পরিত্যাক্ত খুপড়ি ঘর থেকে বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ তাকে আটক করে। এ নিয়ে শাখারীকাঠী গনহত্যা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারী পরোয়ানা ভূক্ত পলাতক ৩ আসামীর সবাইকে কচুয়া, রাজশাহী ও বাগেরহাট সদর থেকে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়েছে। বাগেরহাট সদরের গোটাপাড়া গ্রামের মৃত হারেজ উদ্দিনের ছেলে গ্রেফতারকৃত কুখ্যাত রাজাকার কমান্ডার সিরাজ মাষ্টার মহান মুক্তিযুদ্ধের পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে বসবাস করে আসছিল।

বাগেরহাট মডেল থানার ওসি মো. আলী আজম খাঁন জানান, মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কচুয়ার শাখারীকাঠি বাজারে গণহত্যার শিকার রঘুদত্তকাঠি গ্রামের শহীদ জিতেন্দ্র নাথ দাসের ছেলে নিমাই চন্দ্র দাস বাদী হয়ে ২০০৯ সালে কচুয়া থানায় কুখ্যাত এই রাজাকার কমান্ডারসহ ১২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। মানবতা বিরোধী অপরাধ মামলার তদন্ত দল দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিরাজ মাস্টার, খাঁন আকরাম হোসেন ও আব্দুল লতিফ তালুকদারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করে। পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গত ১০ জুন এই ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করলে কচুয়া থানা পুলিশ গত ১১ জুন এই মামলার পলাতক আসামী আঃ লতিফ তালুকদারকে গ্রেফতার করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে হাজির করে। এরপর গত ১৯ জুন অপর পলাতক আসামী আকরাম হোসেন খাঁনকে রাজশাহী থেকে মোড়েলগঞ্জ থানা পুলিশ গ্রেফতার করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সোপর্দ করে। অবশেষে এই মামলার প্রধান পলাতক আসামী সিরাজ মাস্টারকে বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ সদর উপজেলার ডেমা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হল।

(একে/অ/জুলাই ২২, ২০১৪)