সঞ্জীব কুমার দাস, কাপাসিয়া (গাজীপুর) : ‘দেশকে অশুভ মানুষের দখল থেকে মুক্ত করার অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে বই। বই মানে আলো, বই পড়লে জ্ঞান অর্জন করা যায়। জ্ঞান অর্জন করতে পারলে সমাজ রাষ্ট্রসহ সব জায়গায় আলোকিত মানুষ হওয়া সম্ভব। বই মানুষের জীবনকে সুন্দর করে। বই মানুষকে আলোকিত করে। তাই পঠ্য বই এর পাশাপাশি সকলকে বিভিন্ন জ্ঞান বিজ্ঞানের বই ও পরতে হবে।’

আজ সোমবার উপজেলার পালকি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত তাজউদ্দীন আহমদ এন্ড সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের স্কুল ভিত্তিক বইপড়া কর্মসূচীর পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গতাজকন্যা সিমিন হোসেন রিমি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ। তিনি বলেন, র্দূনীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। আজকের এই শিশুরা যদি সুশিক্ষায় গড়ে উঠে তবেই আমরা আগামীদিন বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গতাজের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারব। বই মানুষের মনকে ঐশ্বর্যবান করে তোলে। তোমরা যত বেশি বই পড়বে, তত ঐশ্বর্যবান হবে। তোমাদের ভাষা সুন্দর করতে ও জীবন সুন্দর করতে বেশি বেশি বই পরতে হবে। সে জীবন দিয়ে তোমরা যে বাংলাদেশ গড়বে তাই হবে সোনার বাংলা। আলোকিত মানুষ গড়ার লক্ষ্যেই ফাউন্ডেশনের উদ্যেগে এই বইপড়া কমৃসূচী পরিচালিত হচ্ছে।

ফাউন্ডেশনের সংগঠক পারভেজ আহমেদ পাপেল এর পরিচালনায় অন্যানের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন কাপাসিযা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ ইসমত আরা, কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবুবকর সিদ্দিক, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাহবুবুর রহমান, ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মনজেরে আহসান। অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয় তাজউদ্দীন আহমদের ঘনিষ্ট বন্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা, এ্যাডভোকেট ও রাষ্ট্রদূত জমিরউদ্দন আহমেদের স্মৃতির স্মরণে।

২০১৭ সাল থেকে তাজউদ্দীন আহমদ এন্ড সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কাপাসিয়ার ১১ টি ইউনিয়নের ৪৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই বইপড়া কর্মসূচী পরিচালিত হচ্ছে। ২০১৮ সালে বইপড়া কর্মসূচীতে ১৪৫০০ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে। মূল্যায়ন শেষে ২৩১ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন কারীদের মধ্যে অনুষ্ঠানে পুরষ্কার বিতরন করা হয়।

(এসকেডি/এসপি/জানুয়ারি ২৮, ২০১৯)