ষ্টাফ রির্পোটার : সুবর্ণচর উপজেলার তুখোড় রাজনিতীবিদের আরেক নাম ফরহাদ হোসেন চৌধুরী বাহার, সৎ যোগ্য মহনতী মানুষের পক্ষে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, ন্যায়পরায়ন, সদা হাস্যউজ্জ্বল ব্যাক্তিত্ব, অমায়িক ও পরিশ্রমি ত্যাগী, নীতিবান আওয়ামী লীগ নেতা বাহার চৌধুরী সুবর্ণচর উপজেলার ৫নং চর জুবিলী ইউনিয়নের পশ্চিম চর জুবিলী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবা আলহাজ্ব ছায়েদল হক চৌধুরী সুবর্ণচরের বিশিষ্ট সমাজসেবক এবং আওয়ামীলীগ রাজনীতির এক কিংবাদন্তী তার দাদা মরহুম হারিছ চৌধুরী নোয়াখালীর সর্ববৃহৎ বাজার আটকোপালিয়া বাজার (হারিছ চৌধুরী বাজার) এর প্রতিষ্ঠাতা এবং দক্ষিণ চর জব্বর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা।

বাহার চৌধুরী বাবা ছায়েদুল হক চৌধুরী শহীদ জয়নাল আবেদীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। (শহীদ জয়নাল আবেদীন বাহার চৌধুরীর মামা) আওয়ামী রাজনীতি ও স্বাধীনতা যুদ্ধে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে তাদের পরিবারের ভূমিকা অপরিসীম। বাহার চৌধূরীর সেজো ভাই বেলায়েত হোসেন চৌধুরী বৃহত্তম চর জব্বর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দীর্ঘদিন সাধারণ সম্পাদকের পদে সফলতার সাথে দায়িত্বে ছিলেন।

ফরহাদ হোসেন চৌধুরী বাহার ১৯৯০ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে প্রবেশ করেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে নিজেকে নিয়োজিত করেন। এরপর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী হন। ১৯৯০ সালে থেকে ২০০৩সাল পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রলীগ শক্তিশালী সু-সংঠিত করার মাধ্যমে নেতৃত্ব দেন। তারপর ২০০৪সালে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ২০১২সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৮বছর সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বহু নির্যাতিত হন। ২০০১সালে ১৫ ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তে সক্রিয় ভূমিকা রেখে ব্যাপক প্রশংসিত হন।

১/১১এর সময় রাজনৈতিক সাহসী ভূমিকার কারণে যুবকদের আইকন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হন। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি থাকা কালীন সময়ে সমস্ত উপজেলার যুবলীগ নেতা কর্মীদের সু-সংগঠিত করে দলকে শক্তিশালী ও গতিশীল করে তোলেন। প্রতি বছর অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণসহ সকল দিবসে তিনি সহ অসহায় গরীবদের মাঝে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন ।

২০০৮সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদর/সুবর্ণচরের উন্নয়নের দক্ষ সারথী জননেতা আলহাজ¦ একরামুল করিম চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনে বাহার চৌধুরীর কঠোর পরিশ্রম এর কারণে এমপি মহোদয়ের আস্থাভাজন হয়ে উঠেন। এরপর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন। এরপর ৫নং চর জুবিলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে এবং এখনো দায়িত্বে রয়েছেন।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হলে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এ.এইচ.এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম এবং জননেতা একরামুল করিম চৌধুরী এমপি মহোদয়ের নিদের্শে দলীয় সিদ্ধান্তে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন। যদিও ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল তবুও দল ও নেতৃবৃন্দের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এই সিদ্ধান্ত নেন এবং ব্যপক প্রশংসিত হন।

তিনি বর্তমানে দক্ষিণ চর জব্বর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় বারের মতো পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি। জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেরা সভাপতি নির্বাচিত হন। এছাড়া ও আরো অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে আছেন। অতীতের ত্যাগ, দূরদর্শিতান ও সফল কর্মকা-ের কারণে সুবর্ণচরের সাধারণ মানুষ এবং দলীয় নেতা-কর্মীগণ বাহার চৌধুরীকে আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস-চেয়ারম্যান পদে দেখতে চায়।

(আইইউএস/এসপি/জানুয়ারি ২৮, ২০১৯)