স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হাটবাজার গুলোতে দেদারচ্ছে ভেজাল কীটনাশক ঔষুধে সয়লাব হয়ে গেছে। 

জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার হাটফাজিল পুর, শীতালী বাজার, পাইকেন পাড়া, ধাওড়া বাজার, আওধা বাজার লাঙ্গলবাঁধ বাজার, খুলুমবাড়িয়া বাজার, কাতলা গাড়ী বাজার, কচুয়া বাজার , বেনিপুর-তমালতলা বাজার,শেখপাড়া বাজার, মদনডাঙ্গা, চরিযারবিল বাজার, গাড়াগঞ্জ বাজার, ভাটই বাজার আলমডাঙ্গা বাজার সাধুহাটি বাজারও শৈলকুপা থানা সদর সহ প্রতিটি হাটবাজার গুলোতে দীর্ঘ দিন ধরে একটি কুচক্রি মহল ভেজাল কীটনাশক ওষুধ দেদারচ্ছে বিক্রি করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। সার বিক্রির পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের হাতে ভেজাল কীটনাশক ওষুধ তুলে দেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষকরা ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

গোপন সুত্রে জানা যায়, সিনজেনটা কোম্পানির ভিরতাকো, বায়ার ক্রপ সাইন্স এর নাটিভো, ওটোক্রপ কেয়ারের রোভরাল নামের কীটনাশক ওষুধ নকল করে কৃর্ষকদের কাছে উচ্ছ মুল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। আর এসবের মুল হোতা হচ্ছে উপজেলার ফিপটি আমিন ও আনোয়ার হোসেন নামের দুই ব্যাক্তি বলে জানা যায়। এরা ভেজাল ওষুধ উপজেলার সমস্ত হাটবাজার গুলোতে সরবরাহ করে থাকে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন সার ও কীটনাশক ওষুধ ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন।

সম্প্রতি ২০০৮সালে আজাদ নামের এক ব্যাক্তির প্রায় ১ কোটি টাকার ভেজাল কীটনাশক ওষুধ থানা সদরের হাজী মার্কেট থেকে প্রশাসন আটক করলেও তা পরে আালোর মুখ দেখেনি। এ ছাড়াও লাঙ্গলবাঁধ এলাকার একব্যাক্তি মজিদ ম্যাক সালফার নামের চকচকে প্যাকেটে ভরে বাজারে উচ্চ মুল্যে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বস্তাভরা লুচ সালফার কিনে এনে গভীর রাতে সেগুলো শ্রীপুর উপজেলার লাঙ্গলবাঁধ এলাকারএকটি গোডাউনে রঙ বে রং এর প্যাকেটে ভরে তা শৈলকুপা, পাংশা, কালুখালী, কুমার খালী, মধুখালী, শ্রীপুর মাগুরা ও ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে সরবরাহ করে।

ধলহরা গ্রামের কৃষক শফি, নাথপাড়ার কৃষক জব্বার জানান, সার কিনতে গেলে সার ব্যবসায়ীরা আমাদের ভেজাল কীটনাশক ওষুধ হাতে ধরিয়ে দেয়। কিন্তু জমিতে দিলে তা কোন কাজে আসেনা। এ ব্যপারে সার ব্যবসায়ী আবু তালেব ও নোমান জানান বেশী লাভের আসায় একশ্রেনীর অসাধু খুচরা সার ব্যবসায়ীরা এসব ভেজাল কীটনাশক ওষুধ বিক্রি করে তারা রাতারাতি আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়ে বনে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা এসকল নকল কীটনাশকওষুধ বিক্রি করিনা দীর্ঘ দিন ধরে সততার সাথে ব্যবসা করে আসছি। যার ফলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ, দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, আমাদের নিকট এধরণের অভিযোগ আসেনি, আসলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সাধারণ সালফসার ও কোম্পানির প্যাকেটজাত সালফার পরিক্ষা ছাড়া পারছেন্ট পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব নয়।

(জেআরটি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৯)