জকিগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি : জকিগঞ্জের খলাছড়া ইউনিয়নের ডিগ্রি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। শিক্ষকদের মধ্যে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের কারণে ম্যানেজিং কমিটিসহ এলাকায় দু’টি পক্ষ মূখোমূখি অবস্থান নিয়েছে।

এ নিয়ে এলাকায় চলছে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত মাসের মাসিক সমন্বয় সভায় সিন্ধান্ত ও অফিসিয়াল নির্দেশনায় স্বাক্ষর নেয়াকে কেন্দ্র করে এ দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক ও স্থানীয় অভিভাবকবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে পৃথক দুটি আবেদন করেছেন।

সহকারী শিক্ষক হাসনা বেগম, সুরাইয়া বেগম, প্রদীপ কুমার শুক্ল ও দপ্তরী জাফর আলমগীর লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন প্রধান শিক্ষক খাদিজা বেগম চৌধুরী আলোচ্য বহির্ভূত সিন্ধান্ত রেজুলেশনে উল্লেখ করেন, নির্দেশনায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর দিতে চাপাচাপি করেন এবং শিক্ষার্থীদের সামনে শিক্ষকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। বিদ্যালয়ে ইচ্ছেমত আসা যাওয়া করেন বলেও তারা অভিযোগে করেন।

অভিভাবকবৃন্দ অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষক খাদেজা বেগম ১৮ বছর থেকে এ বিদ্যালয়ে অবস্থান করায় নিয়ম কানুনের কোন তোয়াক্কা করেন না। প্রতিদিন ১১টার পর বিদ্যালয়ে আসেন। সচেতন শিক্ষদের অপমান করে এ বিদ্যালয় ছেড়ে অন্যত্র বদলী হতে বাধ্য করেন।

প্রধান শিক্ষক খাদেজা বেগম চৌধুরী তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সহকারি শিক্ষকরা ডিপিও অফিস কর্তৃক নির্দেশনায় স্বাক্ষর দিতে বললে তারা স্বাক্ষর দেয় নাই। এ নিয়া কথা কাটাকাটি হয়। কিছু শিক্ষক ক্লাসে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন এবং নিয়মিত ক্লাস ফাঁকি দেন বলে তিনি জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজন কুমার সিংহ বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিরেন্দ্র চন্দ্র দাস বলেন, আজ বুধবার এ ব্যাপারে সরেজমিন তদন্ত করা হবে। এ সব ঘটনায় দায়ী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এসপি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৯)