সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যমত সংগঠক ও সত্তরের এমপি প্রয়াত হাদিস উদ্দিন চৌধুরীর সন্তান হিসেবে মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার আন্তরিক সহযোগিতা চেয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দুয়া উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক ও ৩ বারের নির্বাচিত মোজাফরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল আলম মো: জাহাঙ্গীর চৌধুরী। 

তিনি বলেন, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সত্তরের এম.পি হিসেবে যারা দেশ সেবায় নিয়োজিত ছিলেন, সারাদেশে তাদের পরিবারের প্রত্যেককেই বিশেষ ভাবে মূল্যায়ন করেছেন বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। এটি আমাদের জন্য অনেক বড় পাওনা। আমি আশা করি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সত্তরের এমপির সন্তান হিসেবে মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকেই মূল্যায়ন করে নৌকা প্রতীক আমার হাতে তুলে দেবেন।

এ বিশ্বাসের কোন ঘাটতি নেই আমার। জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে ছাত্রলীগকে সংগঠিত করার কাজে আত্মনিয়োগ করেছি। ১৯৮২ সালে কেন্দুয়া কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দুয়া উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়ে অদ্যাবদি দায়িত্ব পালন করছি। ৩ বার নির্বাচিত হয়েছি ইউপি চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, কলেজ গর্ভনিংবডিতেও সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। আশা করি দলের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা ও পার্লামেন্টারী বোর্ড আমাকে মূল্যায়ন করে নৌকা প্রতীক আমার হাতেই তুলে দেবেন।

জাহাঙ্গীর চৌধুরী আরো বলেন, আমার বাসভবন প্রাঙ্গনে উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় স্থাপন করে দেয়ার অপরাধে ২০০৪ সালে বি.এন.পি জামায়াত জোটের সন্ত্রাসী নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয় সহ আমার বাসবভনে হামলা ভাংছুর লুটপাট করে। সে সময়ে হামলার কারনে আতঙ্কিত হয়ে আমার মা হার্ডফেল করে মৃত্যুবরণ করেন। দলের জন্য অনেক ত্যাগ করেছেন আমার বাবা।

জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেন, আমার বাবা হাদিস উদ্দিন চৌধুরী কেন্দুয়া থানা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ঘরে ঘরে গিয়ে নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে আওয়ামীলীগ গঠন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী হাদিস উদ্দিন চৌধুরীর সন্তান হিসেবে আমি বঙ্গবন্ধু কণ্যার কাছে আমার দাবীই অগ্রাধিকার বলে মনে করি। এজন্য আমি আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন চাই। আশা করি মনোনয়ন পেলে মাদক ও দূর্নীতিমুক্ত কেন্দুয়া গড়ার কাজে সকলেই সহযোগিতা করবেন।

(এসবি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৯)