রাণীশংকৈলে শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে মানুষ
রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে মাঘের শীতের তীব্রতা কিছুটা কম থাকলেও মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রচন্ডহারে ঠান্ডা বাতাস ও ঝির ঝির বৃষ্টিতে জেঁকে বসেছে ঠান্ডা। প্রচন্ড শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বড় সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে ছিন্ন মুলের মানুষ ও শিশুরা।
তীব্র শীতের মধ্যেও অসংখ্য অসহায় পরিবারের লোকজন শীতের কাপড় ছাড়াই দিননিপাত করছে। এছাড়ারাও শীত জনিত রোগের তুলনা মূলক প্রকোপ বেড়ে গেছে । তাছাড়া ইরি মৌসুমের ধানের চারা শীতের প্রকোপে মরতে শুরু করেছে। এতে কৃষকের কপালে পড়ছে দুশ্চিন্তার ছাপ।
শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করার চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষ। শীত বস্ত্রের দাম বাড়লেও নিম্ন আয়ের মানুষেরা ফুটপাতে ভিড় জমিয়েছে শীত বস্ত্র কেনার জন্য।
শীতের প্রথম ধাপে বিভিন্ন সংগঠন, ব্যবসায়ী, দানশীল ব্যক্তি, এনজিও প্রতিষ্ঠান শীতবস্ত্র বিতরণ করলেও এখন ততোটা লক্ষ করা যাচ্ছেনা। তাছাড়া সরকারিভাবে যেসব শীত বস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয় তার সিংহভাগ চলে যায় রাজনৈতিক ব্যক্তি, কর্মকর্তা কর্মচারীসহ আমলাদের ডাইনে বায়ে থাকা মানুষের হাতে। বঞ্চিত হয়েছে সাধারন মানুষ। এবারের সরকারী শীতবস্ত্র গুলি উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরাও ভাগ বসিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে যাদের পাওয়ার তার তারা পাননি। প্রভাবশালীরা নিলেও তালিকাটা হচ্ছে গরিবমানুষসহ অপরিচিত মানষ জনের নামে। যাচাই করলে সেই মানুষগুলির সন্ধান পাওয়া যাবে না বলে একটি বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ জানান, হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। এ অবস্থা আরো কিছুদিন বিরাজ করতে পারে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ফিরোজ আলম জানান, ঠান্ডাজনিত কারনে শিশুদের মধ্যে সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমেনিয়া, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা, এ্যকোনিউমোনিয়া, ফ্যারেনজাইটিস, অ্যালার্জি ইত্যাদি রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। শীতের তীব্রতা অব্যাহত থাকলে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া শীত জনিত রোগের সাথে ডায়রিয়ার প্রকোপ ও দেখা দিচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরিদা বলেন,যথেষ্ট পরিমাণ শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
(কেএএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৯)