ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালী জেলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেই কোন মর্গ।  পুরো জেলার লাশের ময়নাতদন্তের জন্য এই খানে নেই কোন লাশ কাটার ঘর ও লাশ রাখার পরিপূর্ণ ব্যবস্থা। ময়নাতদন্তের জন্য আনা লাশকে ময়লা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে হাসপাতালের রুগীদের ওয়ার্ডের পাশে সিঁড়ি ঘরে রাখা হয়। 

এই লাশ দেখে হাসপাতালে চিকিৎসারত রুগীদের মাঝে এবং আগত স্বজনদের মাঝে একধরণের ভীতির সৃষ্টিহয়। জেলখানা রোডে অবস্থিত পুরাতন মর্গ দীর্ঘ ১০ বছর যাবত পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। হাসপাতালের ছাদের উপরে তেরপাল ঘেরা অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে চলে লাশের ময়নাতদন্ত। ফলে শুধু যে লাশের সংরক্ষনের কাজ ব্যহত হচ্ছে শুধু তা নয়, নষ্ট হচ্ছে বহু আলামতও।

লাশের ময়না তদন্তের সময় এইসব অব্যবস্থানায় লাশের অভিভাকরা মনে করেন, লাশের উপর ময়না তদন্তের নামে চলে এক ধরনের নির্যাতন যা অমানবিক। এই কারণে অনেক সময় লাশের ময়নতদন্ত করার জন্য রাজি হননা অভিভাবকরা। এই হাসপাতালে লাশ সংরক্ষনেরও নেই কোনব্যবস্থা। লাশ রাখার যথেষ্ট ব্যবস্থা না থাকার কারনে লাশের পঁচন শুরু হয়ে যায়। লাশের বিভিন্ন অংশ পঁচেগলে দুর্গন্ধে একদিকে যেমন পরিবেশ দূর্বিষহ হয়ে উঠছে অন্য দিকে তেমনিতা গুরুতর উদ্বেগের কারণ।

হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে এখানে ২১৭ টি লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। গড়ে প্রতিমাসে ২০-২৫ টি লাশের ময়না তদন্ত করা হয়।

নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, আপাতত অস্থায়ী ভাবে ছাদের উপরে তৈরী স্থানে লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়। আমরা গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে আবেদন করেছি যা প্রক্রিয়াধীন আছে। হাসপাতালের নিজস্ব কোন ডোম না থাকায় মেডিকেল কলেজের দুইজন ডোম ময়নাতদন্ত করেন।

নোয়াখালীগণপূর্ত বিভাগেরনির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুল হাসান জানান, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার টেন্ডার হয়েছে, শীঘ্রই ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হবে।

(এস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৯)