বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে আদলত প্রাঙ্গন থেকে পালিয়ে গিয়েও শেষ রক্ষা হলো না ডাকাতি মামলার আসামি দোলোয়ার হোসেনের। ২০ দিন পর সোমবার রাতে খুলনার তেরখাদা এলাকা থেকে তাকে বাগেরহাট থানা পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়।

জানা যায়, আসামি দেলোয়ার হোসেন (২২) খুলনার তেরখাদা উপজেলার মধুপুর এলাকার আব্দুল গফুর গাজির ছেলে।
পুলিশ জানায়, খুলনা থেকে আটকের পর দোলোয়ারের স্বীকারোক্তি মতে পুলিশ সদর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে যায়। সেখানে অবস্থানরত দেলোয়ার হোসেনের অন্য সহযোগিরা তখন পুলিশের নিকট থেকে তাকে ছাড়িয়ে নেয়ায় চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে পালিয়ে যায়। এ সময়ে এনকাউন্টারে পড়ে দোলোয়ার হোসেন আহত হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে ১ টি বন্দুক ও ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় আটক আসামি দেলোয়ারকে খুলনা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।

গত ২ জুলাই দুপুরের দিকে বাগেরহাট জেলখানা থেকে একটি ডাকাতি মামলায় আদালতে আনা হলে আটক এ আসামি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ফিরোজুল ইসলাম, আব্দুল আজীজ, শুকরঞ্জন অধিকারী, আব্দুল মজিদ ও ফারহানা আক্তার নামের ৫ পুলিশ কনস্টবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

বাগেরহাট মডেল থানার ওসি মো. আলী আজম খান বলেন, বাগেরহাট সদরের রাখালগাছি ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের বাপ্পীদাসের বাড়িতে ২২ এপ্রিল রাতে ডাকাতির ঘটনার পরদিন খুলনা থেকে ডাকাতিকৃত মালামালসহ বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ দেলোয়ার হোসেন মুন্নাকে আটক করে। দেলোয়ার পরদিন আদালতে ১৬৪ ধারায় তার সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়।

এরপর থেকে ওই আসামি বাগেরহাট কারাগারে আটক ছিল। গত ২রা জুলাই আদালত এলাকার কোর্ট কাস্টরি থেকে মামলার হাজিরার জন্য অন্য আরো ১১ আসামির সাথে চিফ জুডিসিয়াল আদালতে নেওয়ার পথে হাতের হ্যান্ডকাপ খুলে পালিয়ে যায় দেলোয়ার।

(একে/জেএ/জুলাই ২২, ২০১৪)