চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গায় দামুড়হুদায় এই প্রধম ডিপ ইরিগ্রেশন সোলার পাম্পের মাধ্যমে কৃষিকরা সেচ কার্যক্রম শুরু করতে পেরে স্থানীয় কয়েক হাজার কৃষিক বেজায় খুশি । গতকাল শুক্রবার বিকালে দামুড়হুদার কাদিপুর ও কেশবপুর গ্রামে মাঠে সেচ কার্যক্রম শুরু হয়েছে ।

এর আগে চুয়াডাঙ্গার কোথায়ও এই ডিপ ইরিগ্রেশন সোলার স্থাপন করা হয়নি ।

কৃষকদের সেচ সুবিদ্বার্থে স্থাপন করা হচ্ছে সৌর চালিত পরিবেশ বান্ধব সোলার ডিপ ইরিগ্রেশন পাম্প। এতে কৃষকদের যেমন সময় অপচয় কম হবে । তেমনি গভির নলকুপের তুলনায় সেচ খরচও কম হবে।
দামুড়হুদার কেশবপুর, বিষ্ণপুর ও কাদিপুর গ্রামের বিদ্যুৎ বিহীন মাঠে তিনটি সৌর চালিত ডিপ ইরিগ্রেশন পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এরই মধ্যে দামুড়হুদার কাদিপুর ও কেশবপুর গ্রামের মাঠে সেচ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। কিন্তু বিষ্ণুপুর মাঠের পাম্প বসানোর কার্যক্রম প্রায় শেষের দিকে।

ওয়েভ ফাউন্ডে সোলার ডিপ ইমিগ্রেশনের সমন্বয়কারী কিতাব আলি জানান, বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় ইডকলের অর্থায়নে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়ন স্থাপন হচ্ছে সোলার পাম্প। বিদ্যুৎ বিহীন মাঠে এই পাম্প বসানো হচ্ছে। প্রতিটি ডিপ ইরিগ্রেশন পাম্প খরচ হয় ৬৩ লাখ টাকা । এই ডিপ ইরিগ্রেশন পাম্প থেকে দুই’শত বিঘা জমিতে সেচ সুবিধা দেওয়া সম্ভব হবে। এখান থেকে প্রতি ঘন্টায় আড়াই লাখ লিটার পানি উত্তোলিত হবে। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই পাম্প চালানো যাবে। রাতে কখোনোই এই পাম্প চালানো যাবে না। যেখানে গভির নলকুপে বছরে সেচ খরচ হয় ৯- ১০ হাজার টাকা।

অগভির নলকুপে স্যালো ইজ্ঞিনে প্রতি বছর খরচ হয় ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা। সেখানে সোলার ডিপ ইরিগ্রেশন পাম্পের আওতায় প্রতি বছর এক বিঘা জমিতে সেচ খরচ ৪ হাজার ৫ শত টাকা । তিনি আরও জানান ২০ বছর এই ডিপ ইরিগ্রেশন পাম্প পরিচালনার করবেন ওয়েভ ফাউন্ডেশন। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলায় বিদ্যুৎ বিহীন এলাকায় পর্যায় ক্রমে চলতি সেচ মৌসুমে ৩০টি সোলার ডিপ ইরিগ্রেশন পাম্প স্থাপন করা হবে। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলাই ১৪টি সোলার ডিপ ইরিগ্রেশন পাম্প চালু করা হয়েছে। বাকীগুলো কার্যক্রম চলছে দ্রতই স্থাপন করা হবে বাকী পাম্পগুলো ।

(টিটি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৯)