স্টাফ রিপোর্টার : রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউসিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) আয়োজিত ‘রিহ্যাব ফেয়ার ২০১৯’ শীর্ষক আবাসন মেলা থেকে জমি কিনলে ৪০ শতাংশ মূল্য ছাড় দিচ্ছে পূর্বাচল গ্রিন ল্যান্ড টাউন।

এ বিষয়ে মেলা প্রাঙ্গণে অবস্থিত গ্রিন ল্যান্ডের স্টলে দায়িত্ব পালন করা ডেপুটি ম্যানেজার (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আমাদের ৩, ৫, ৭ ও ১০ কাঠার প্লট রয়েছে। মেলা থেকে যে কেউ এসব প্লট কিনে এককালীন মূল্য পরিশোধ করলে ৪০ শতাংশ ছাড় দেয়া হচ্ছে। তবে মেলার পরে এ ছাড় দেয়া হবে না।

তিনি বলেন, আমাদের প্রকল্পটি আনুমানিক ১২শ’ বিঘা জমি নিয়ে গঠিত। যেখানে প্রায় ৪ হাজার প্লট রয়েছে। মসজিদ, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, খেলার মাঠ, হাসপাতাল, ব্যাংক, কমিউনিটি সেন্টার, শপিংমল, মার্কেট, কাঁচা বাজার, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, ওয়াটার রিজার্ভার, পাম্প হাউজ, এটিএম বুথ, ঈদ গাহ, কবরস্থানসহ আধুনিক জীবনযাপনের সকল নাগরিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

গ্রিন ল্যান্ড টাউনের প্লট কিনতে ক্রেতারা এককালীন মূল্য পরিশোধ করলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্লট রেজিস্ট্রেশন করে দেয়া হবে জানিয়ে আখতারুজ্জামান বলেন, এককালীন মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রতি কাঠায় ১০ হাজার টাকা বুকিং মানি পরিশোধ করতে হবে। বাকি টাকা পরবর্তীতে দুই মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।

এককালীন মূল্য পরিশোধের পাশাপাশি ক্রেতারা চাইলে কিস্তিতে গ্রিন ল্যান্ড টাউনের প্লট কিনতে পারবেন বলে জানান আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রতি কাঠায় ১০ হাজার টাকা বুকিং মানি পরিশোধ করতে হবে। বাকি টাকা ১২ থেকে সর্বোচ্চ ৯৬টি কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ রয়েছে। ন্যূনতম ছয়টি কিস্তি পরিশোধের পর পরই চুক্তিপত্র প্রদান করা হবে।

আর ক্রেতারা ডাউনপেমেন্টে মূল্য পরিশোধ করতে চাইলে প্রতি কাঠায় ১০ হাজার টাকা বুকিং মানিসহ জমির মূল্যের কমপক্ষে ১০ শতাংশ পরিশোধ করতে হবে। অবশিষ্ট টাকা সর্বোচ্চ ৯৬ কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। বুকিং মানিসহ ১০ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট পরিশোধের পর উক্ত প্লটের চুক্তিপত্র প্রদান করা হবে।

আখতারুজ্জামান আরও বলেন, আমাদের কোম্পানি জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিবন্ধিত এবং রিহ্যাবের সদস্যপদ প্রাপ্ত। পূর্বাচল গ্রিন ল্যান্ড টাউন প্রকল্পটি ড্যাপের আওতামুক্ত। প্রকল্পটি রাজউক পরিকল্পিত মেগা সিটি ‘পূর্বাচল নিউ টাউন’- এর পূর্ব পাশে ৩০০ ফুট হাইওয়ের সাথে সংযুক্ত ও ঢাকা- সিলেট হাইওয়ে সংলগ্ন। এটি কুড়িল ফ্লাইওভার হতে ১৫ কিলোমিটার, আমেরিকান অ্যাম্বাসি হতে ১২ কিলোমিটার এবং যাত্রাবাড়ী থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে নির্মাণাধীন ভুলতা-গাউছিয়া ফ্লাইওভার সংলগ্ন।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯)