রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : জেলার সব স্কুল কলেজ ও হিন্দু পরিবারে মহাসমারোহে চলছে বিদ্যা ও ললিতকলার অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতী পূজা। রবিবার সকাল থেকে ঢাক ঢোল কাঁসর, শংখ আর হুলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে পূজা অঙ্গন। এ পুজাকে ঘিরে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর পিকেএম হ্ইাস্কুল মাঠে রবিবার থেকে শুরু হয়েছে আটদিন ব্যাপি পঞ্চমী মেলা।

সাতক্ষীরা জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি বিশ্বানাথ ঘোষ জানান, হিন্দু শাস্ত্রমতে মাঘ মাসের শুক্লা পক্ষের পঞ্চমী তিথিতে দেবীর আরাধনা করা হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস মতে দেবী সরস্বতী সত্য , ন্যায় ও জ্ঞানোলোকের প্রতীক। শ্বেত শুভ্র বসনা দেবীর এক হাতে বেদ, অন্য হাতে বীণা। এজন্য দেবীর আরেক নাম বীণাপানি। যদিও তিথির হেরফেরে শনিবার ও রবিবার দু’দিনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাড়িতে ও মন্দিরে মন্দিরে পুষ্পাঞ্জলী অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

মর্তের ভক্তকুলকে চেতনাদীপ্ত করতে প্রতি বছর আবির্ভূত হন দেবী সরস্বতী। বিদ্যা ও জ্ঞানালোক সন্ধানী শিক্ষার্থীরা দেবীর আরাধনায় মনোযোগী হয়ে ওঠে।

তিনি আরো জানান, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুরে এবারও শুরু হয়েছে আটদিনব্যাপী শ্রী পঞ্চমী মেলা ।বিষ্ণুপুরের বন্ধুমহল ২৪ বছর ধরে ও প্রান্তিক সংঘ ১৬ বছর ধরে বিশেষ প্যাণ্ডেল তৈরি করে সার্বজনীন এ সরস্বতীপুজা করে যাচ্ছে। পুজা উপলক্ষে পঞ্চমী মেলায় নাচ, গান, সার্কাস, মেয়েদেও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সাতক্ষীরা শহরের গফুর সাহেবের বাগানবাড়ির মেসহেদী হাসান ও যশোরের সোমা রায় জানালেন, শুধু প্রতিমা নয়, প্রান্তিক সংঘের টাইটানিক জাহাজের প্যাণ্ডেল ও বন্ধুমহলের সুসজ্জিত মনোরম প্যাণ্ডেল তাদেরকে আকর্ষণ করে। এ পুজা শুধু হিন্দুদের নয়, পুজা উপলক্ষে আয়োজিত পঞ্চমী মেলা সর্বধর্মের মিলন মেলায় পরিণত করেছে।

বিষ্ণুপুর বন্ধুমহল সরস্বতী পুজা উদযাপন কমিটির আহবাংক সঞ্জয় কুমার মণ্ডল ও প্রান্তিক সংঘ পুজা উদযাপন কমিটির আহবাংক গোপাল চন্দ্র মণ্ডল জানান, পঞ্চমী মেলায় সাম্প্রদায়িক শক্তি পরাজিত হয়ে অসাম্প্রদায়িক উৎসব হিসেবে রুপ নেয়। তবে পুজা ও মেলা উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

(আরকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯)