শেরপুর প্রতিনিধি : কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতাদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ইলেকশেনর সময় অশান্তি করছে, এখনও অশান্তি লাগায়া রাখার জন্য চেষ্টা করতেছে। বলতেছে আন্দোলন করবেন ঈদের পরে, আমরা কারও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে কোন বাধা দেই নাই, দিবো না। তবে মানুষ পুড়ায়া মারবেন, বাচ্চা পুড়ায়া মারবেন, রাস্তা-ঘাট অন্তর্ঘাত কইরা যা খুশি তাই করবেন; সেটা মাইন্যা নেওয়া হবে না। সরকারের দায়িত্ব আছে, সরকার যা যা করার দরকার তাই করবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, একেবারে পরিস্কার কথা, যা যা করার দরকার তাই করবে।

মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কাপাসিয়া শহীদ স্মৃতি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এক ভিজিএফ বিতরণ অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মার্কিন সিনেট কমিটিতে গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে নতুন নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট এর মন্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আজকে গাজা উপত্যকায় যখন বাবার কোলে বাচ্চার লাশ দেখি তখন আপনাদের কোন বিবেক জাগ্রত হয় না। আর যুদ্ধাপরাধীর দায়ে যখন আমরা বিচার কইরা অপরাধীদের শাস্তি দেই, আপনারা মানবাধিকার মানবাধিকার কইরা চিল্লাইতে থাকেন। তিনি বলেন, আমরা সহযোগিতা নেই, সাহায্য নেই, কিন্তু ভিক্ষা নেই না। পাই পাই পয়সা ফেরত দেই। যখন কোন প্রকল্প নেই, সেই প্রকল্পের পয়সা আমরা ফেরত দেই। কাজেই মাইপা-জুইখা কথা বলবেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকীর হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম, নালিতাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম. মোখলেছুর রহমান রিপন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শারমিন আক্তার, পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিয়াউল হক এবং প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় রাজনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিন কৃষিমন্ত্রী দিনব্যাপী নালিতাবাড়ী উপজেলার ৫ ইউনিয়নে ৬ হাজার ২৫০ জন দু:স্থ্ অসহায় মহিলার মাঝে ১০ কেজি করে ভিজিএফ চাল বিতরণ করেন। এছাড়া ২৩০ জনকে বয়স্ক ভাতা, ১০৫ জনকে বিধবা ভাতা, ২৫ জনকে প্রতিবন্ধী ভাতা, এক হাজার ২৫০ জন গরীব মহিলার মাঝে শাড়ি, ১২৮ জন শিক্ষার্থীর মাঝে থ্রি পিস, ৫০০ জনের মাঝে পাজামা এবং ৫০০ জনের মাঝে শার্ট বিতরণ করেন।

(এইচবি/জেএ/জুলাই ২২, ২০১৪)