বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। 

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান শামিমের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম এই তদন্ত কাজ শুরু করেন।

চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদের বিরুদ্ধে জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পের ৫০৫ টি ঘর নির্মানে ঘর প্রতি ২০ হাজার টাকা করে দেড় কোটি টাকা ঘুষ গ্রহনসহ বিভিন্ন সড়কের পাশের সরকারি গাছ নামমাত্র দামে নিলামের মাধ্যমে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ১৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ, উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫ জন নৈশ প্রহরী নিয়োগ দিয়ে ৫৫ লাখ টাকা ও মধুমতি নদীর বাওড় হতে বড়গুনি খাল খননের ৩৩ লাখ টাকা আত্মসাৎসহ সরকারের নানা উন্নয়ন প্রকল্পের অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ তুলেন খোদ উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান শামিম।

অভিযোগের বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান স্ব প্যাডে প্রধানমন্ত্রীসহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়, ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রনালয়, দূর্নীতি দমন কমিশন ও বিভাগীয় কমিশনার বরাবর অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ তদন্ত শুরু হয়েছে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন।

চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব ুসাঈদ বলেন, অভিযোগ যে কেউ কারো বিরুদ্ধে দিতেই পারে। তদন্তে যদি আমি দোষী প্রমানিত হই তা হলে কেউ তো আইনের উর্ধে নয়।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক ও বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (তদন্ত কর্মকর্তা) মো. জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, চিতলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান শামিম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু সাঈদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তিনি চিতলমারীতে এসে বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছেন।

(এসএকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯)