উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : ফরিদপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক ভোরের প্রত্যাশা পত্রিকায় ১১ ফেব্রুয়ারি সংখ্যার প্রথম পাতায় প্রকাশিত 'হতদরিদ্র মানুষের ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ' শিরোনামের সংবাদটির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সামচুল আলম চৌধুরী। তিনি দৃঢ়তার সাথে জানিয়েছেন, ভোরের প্রত্যাশা মিথ্যা ও বানোয়াট খবর পরিবেশন করেছে। তিনি আরও বলেন, তাকে হেয় প্রতিপন্ন করে একটি একটি গোষ্ঠীর স্বার্থ সিদ্ধির লক্ষ্যেই সেটি প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবাদ পত্রে তিনি জানিয়েছেন, ফরিদপুর জেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের ভাষাণচর, গ্রামে তাদের বাড়ি। ফরিদপুরে তাদের পরিবারটির সুখ্যাতি রয়েছে। পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রাখতেই তিনি ছোটবেলা থেকেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৮৩ সাল থেকে সরকারী রাজেন্দ্র কলেজে অধ্যয়ন কালেই তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির অংশ হিসেবেই নানা আন্দোলন সংগ্রামে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে তিনি একাধিক মামলায় কারাবাস করেন। পরবর্তীতে তিনি তৎকালীন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান লাবলু, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেনসহ জেলার বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে সুনামের সাথে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন।

রাজনীতিতে সামচুল আলম চৌধুরী সৎ,, ভদ্র ও সদালাপী। ১৯৮৯সালে তিনি অম্বিকাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য, ২০০৪সালে কোতয়ালী থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও ২০০৬ সালে কোতয়ালী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেন। এখনো তিনি কোতোয়ালি থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক।

সামচুল আলম দাবি করেন, দৈনিক ভোরের প্রত্যাশায় প্রকাশিত খবরে ভিলেজ মাল্টি পারপাস এনজিও'র সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা বলা হয়েছে, সেটা সত্য নয়। ওই এনজিওর সাথে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এমনকি ওই এনজিও'র সদস্যও তিনি নন। তার ভাই মোস্তফাও ওই এনজিও'র সাথে জড়িত নন। সামচুল আলম টিআর, কাবিখা, টেন্ডারবাজী, চাকুরী বাণিজ্য, শালিশি, নদী থেকে বালু উত্তোলনের সাথে কোন প্রকার জড়িত নন। ওই খবরের বর্ণনা মতে তার মালিকানাধীন কোনো প্রাইভেট ক্লিনিক নেই। একসময়ে তার একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ছিলো, যা ১০বছর আগে লোকসান হওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবাদ পত্রে কোতোয়ালি থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সামচুল আলম চৌধুরী আরও বলেন, ইট ভাটা, নৈশ প্রহরী নিয়োগ বাণিজ্যসহ প্রকাশিত খবরে যে সকল অভিযোগের কথা বলা হয়েছে, কোনো অভিযোগের সাথেই তিনি যুক্ত নন। একটি মহল রিপোর্টারকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এবং তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে সংবাদটি প্রকাশের ব্যবস্থা করেছে। তিনি সকল অভিযোগকেই মিথ্যা ভিত্তিহীন চিহ্নিত করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সামসুল আলম তার প্রতিবাদ লিপিতে আশা প্রকাশ করেছেন, এখন থেকে ওই পত্রিকা কতৃপক্ষ সকল বিষয় ভালোভাবে যাচাই বাছাই করেই খবর পরিবেশন করবেন, যাতে কোনও নির্দোষ মানুষকে হয়রানি্র শিকার না হন।

(পিএস/অ/ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯)