রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে ঘরের সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার প্রচার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘরের দরজার বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে পালানোর সময় জনতা মৃতের স্বামী, শ্বশুর ও শ্বাশুড়িকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধূর নাম আঁখি বসু (২০)। তিনি যশোরের কেশবপুর থানার গড়ভাঙা গ্রামের গোবিন্দ বসু ও জ্যোস্না বসুর মেয়ে।

মৃতের বাবা গোবিন্দ বসু জানান, তার মেয়ে আঁখি বসুর সাথে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর গ্রামের জ্যোর্তিবিদ সন্তোষ কুমার বসুর ছেলে অরুপ বসুর তিন বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী, শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি তাকে নির্যাতন চালাতো। সোমবার রাতের কোন এক সময় আঁখিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে লাশ ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যার প্রচার দেওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ঘরের দরজায় তালা ঝুলিয়ে পালানোর সময় জনতা অরুপ বোস, তার বাবা সন্তোষ বসু ও মা অশোকা বসুকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

সাতক্ষীরা সদর থানাধীন ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িরন উপপরিদর্শক হাসানুজ্জামান জানান, লাশের দু’ পা মেঝেতে লাগানো ছিল। তবে মৃতের শ্বশুর সন্তোষ বসু এ প্রতিবেদককে জানান, আঁখি আত্মহত্যা করেছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃতের স্বামী, শ্বশুর ও শ্বাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। মৃতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ময়না তদন্ত রিপোর্ট ছাড়া হত্যা না আত্মহত্যা সেটি বলা যাবে না। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত এ নিয়ে থানায় কোন লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। লাশের ময়না তদন্তের জন্য মঙ্গলবার বিকেলে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তবে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গের ডোম উজ্জ্বল কুমার বিশ্বাস জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত লাশ মর্গে আসেনি।

(আরকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৯)