সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। সাতক্ষীরা- কালীগঞ্জ সড়কের নলতা চৌমুহুনীতে গত এক সপ্তাহ ধরে এ নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন মাদক সম্রাজ্ঞী জরিনা বেগম। মঙ্গলবার সকালে ছবি তুলতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।

কালীগঞ্জ উপজেলার নলতা চৌমুহুনী এলাকার ব্যবসায়িী আব্দুর রাজ্জাক ও আলমগীর হোসেন জানান, জরিনা একজন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ি। মাদক পাচার করতে গিয়ে সে কয়েকবার জেল হাজতে ছিল। একটি মামলায় তার সাজাও হয়। কিছুদিন যাবৎ সে মাদক থেকে দূরে থাকলেও বর্তমানে সোনাটিকারী গ্রামের কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে আবারো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ফেনসিডিল পাচারের সুবিধার্থে জরিনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে এক সপ্তাহ আগে ইট দিয়ে একটি বিশাল আকুতির পাকা ঘর নির্মাণ শুরু করে। স্থানীয় লোকজন বাধা দিলে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালি দেওয়া হয়। এমনকি যশোর ও খুলনা থেকে প্রকাশিত দু’টি পত্রিকার কালীগঞ্জের দু’ প্রতিনিধি নির্মাণাধীন ভবনের ছবি তুলতে গেলে তাদের ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে জরিনা। এমনকি বেশি বাড়াবাড়ি করলে ঠ্যাং ছাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জের দু’ সাংবাদিক পরিচয় গোপন রাখার শর্তে জরিনার দারা লাঞ্ছিত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে জরিনা বেগম জানান, তার বাবা খলিলুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে সিএ-বিতে কাজ করত। সে সময় পরিবার পরিজন নিয়ে ওই জমিতে বসবাস করতো। আগে মাদকের ব্যবসা করলেও বর্তমানে অসহায় অবস্থার কারণে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় একটি পাকা দোকান করে সেখানে ব্যবসা করা উদ্যোগ নিয়েছেন। তাতে স্থানীয় রাজ্জাক ঠিকাদার ও দু’জন সাংবাদিক কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে।
সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের সেকশান অফিসার রুহুল আমিন জানান, বিষয়টি তাদের জানা নেই। এ ধরনের কোন অবৈধ নির্মাণ কাজ চলতে থাকলে তা বন্ধ করে দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(আরকে/এএস/এপ্রিল ১৫, ২০১৪)