স্টাফ রিপোর্টার : রোগীদের কোন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তা মূল বিষয় নয়। মূল বিষয় হচ্ছে, তারা ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছেন কিনা।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্যান্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা রোগীদের ফের সোহরাওয়ার্দীতে ফেরত আনার বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।

তিনি বলেন, কোন হাসপাতালে চিকিৎসা হচ্ছে তা মূল বিষয় নয়। মূল বিষয় হচ্ছে, রোগীরা ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছেন কিনা। তবে আমরা রোগীদের ইচ্ছাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। রোগীরা সোহরাওয়ার্দীতে ফিরে আসতে চাইলে আমাদের আপত্তি নেই।

শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. জাহিদ মালেকের নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

মহাপরিচালক বলেন, আমরা অ্যাম্বুলেন্সের ফ্রি সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছি। অনেক রোগীর অবস্থা তুলনামূলক ভালো ছিল। তারা বাসায় ফিরে যেতে চেয়েছিলেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে তাদেরকে আমরা ওই ফ্রি অ্যাম্বুলেন্সে করেই বাসায় পৌঁছে দিয়েছি। তাছাড়া অন্যান্য হাসপাতালে যাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের সবাইকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, রোগীদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে প্রথমে আমরা সরকারি হাসপাতালগুলোকে প্রাধান্য দিয়েছি। যে বিভাগের রোগী তাদেরকে সেসব বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রথমে বলেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে নির্দেশনার অভাবে অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভাররা বেশিরভাগ রোগীকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। তাছাড়া ঢামেক থেকে কোনো রোগীকে কখনও ফেরত দেওয়া হয় না। তারপরও আমরা সেখানে চাপ হলে রোগীদেরকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।

এ সময় তিনি কোন হাসপাতালে কতজন রোগীকে নেওয়া হয়েছে তার একটি হিসাব উপস্থাপন করেন। সেখানে বলা হয়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সর্বমোট ৪৯২ জন রোগীকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকদের সূত্রে ভর্তির তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে ঢামেক হাসপাতালে ৩৮৫ জন, মিটফোর্ডে ১ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮ জন, কুর্মিটোলা ৫০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ২৩ জন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালে ১৫ জন, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে ৯ জন, জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ৯ জন, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ৩ জন, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ১২ জন, কেয়ার হাসপাতালে ২৭ জন রোগীকে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এছাড়া জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রোগী ভর্তি হওয়ার খবর নিশ্চিত হলেও কতজন ভর্তি রয়েছেন তা এখনও জানা যায় নি। আর জাতীয় নাক-কান-গলা ইনস্টিটিউট এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট হাসপাতালে কোনো রোগী ভর্তি হয়নি বলেও জানানো হয়েছে। এর মধ্যে এসব হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন সর্বমোট ৮ জন রোগী। আর ঢামেক হাসপাতালের এইচডিইউতে ৪০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯)