রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : মেলা লাগানোর ক্ষেত্রে নেই কোন ঐতিহাসিক ইতিহাস ঐতিহ্য শুধু মাত্র বাণিজ্যেক ভাবে লাভবান হওয়ার জন্যই ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল উপজেলার মহারাজা নামক হাটে আনন্দ মেলার নামে চলছে হাউজি অশ্লীল যাত্রা পালা যাদু প্রর্দশনী নামে অশ্লীল (পুতুল) নাচ। এ মেলাটি শাসক দলের দুজন নেতার তত্বাবধানে চলছে। মেলার কারণে চুরি ও সীমান্তে চোরাকারবারীদের উৎপাত বেড়ে গেছে । এবং মাইকের উচ্চ শব্দে চলমান এসএসসি পরীক্ষার্থীরা চরম বিড়ম্বনায় পড়ছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।

এদিকে মেলা কমিটির সহ-সভাপতি ইউপি আ’লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য আইনুল হক বলেন,অসহায় পঙ্গু মুক্তিযোদ্বাদের সহযোগিতার জন্য এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

মেলা গত ১৭ জানুয়ারি উদ্ধোধন করেন ঠাকুরগাও-২ আসনের সাংসদ হাজ্বী দবিরুল ইসলাম বলে নিশ্চিত করেন ইউপি চেয়ারম্যান ও মেলা কমিটির সভাপতি আব্দুর রউফ।

গতকাল বৃহস্পতিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার নিভৃত পল্লী ভারতীয় সীমান্ত ঘেষা কাশিপুর ইউনিয়নের মহারাজা নামক হাটে কৃষি জমিতে আয়োজন করা হয়েছে আনন্দ মেলা। মেলায় এলোমেলো ভাবে কয়েকটি মনিহারী দোকান খাবার হোটেল ছোটদের একটি নাগরদোলা ছাড়া পরিবার নিয়ে দেখার মত কিছু নেই। নাগরদোলার পাশে অদ্ভুত যাদু প্রর্দশনী বসানো হয়েছে তবে সেখানে যাদু চলার পরিবর্তে চলে অশ্লীল নৃত্য পুতুল নাচ। তার পাশেই শতরুপা শীল্পি গোষ্ঠী নামে যাত্রাপালার প্যান্ডেল বসানো হয়েছে সেখানে সামাজিক যাত্রাপালার নামে রাতব্যাপী চলে অশ্লীল নৃত্য। আর মেলার প্রধান ফটকে ঢুকতেই সোজা দেখা যায় হাউজি খেলার প্যান্ডেল। হাউজিতে মানুষজনের ব্যাপক আগমন ঘটায় প্যান্ডেলের জায়গা বাড়িয়ে নিতে দেখা যায়। পাশেই একটি লিফলেট পড়ে থাকতে দেখা যায় সেখানে বৃহস্পতিবার হাউজি খেলার ১ম পুরুস্কার পালসার ১৫০সিসিসহ এক সিটে ১২টি মোটরসাইকলে দেওয়ার ঘোষনা দেওয়া রয়েছে।

তবে মেলায় দিনের বেলা মানুষজনের উপস্থিতি তেমন লক্ষ্য করা যায় নি।

এদিকে স্থানীয়দের সুত্রে জানা যায়, কাশিপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি সদস্য আইনুল হকের তত্বাবধানে মেলাটি চলছে। তারা মেলা কমিটির ক্রমান্বয়ে সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। মুলত তারাই বিভিন্ন দপ্তরকে ম্যানেজ করে কোন ধরনের অনুমতি ব্যতীত মেলার নামে অশ্লীল যাত্রা ও হাউজি খেলাসহ পুতুল নাচ চালিয়ে যাচ্ছেন মেলা কমিটি।

মেলার সহ-সভাপতি আ’লীগ নেতা ইউপি সদস্য আইনুল হক গতকাল বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে বলেন, অসহায় মুক্তিযোদ্বাদের সাহায্যের্থে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। তবে তিনি বলেন হাউজি খেলা যাত্রা পালা ও পুতুল নাচের লিখিত অনুমতি নেই। স্থানীয়ভাবে ম্যানেজ করে চালানো হচ্ছে।

এদিকে কাশিপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্বা কমান্ডার মুঠোফোনে বলেন, তারা কিসের মুক্তিযোদ্বাদের সাহায্যের্থে মেলা করছে আমি তো জানি না। আমি নিজেই তো মেলা লাগানোর আগে থেকে অসুস্থ তাহলে আমাকে কই সাহায্যে করলো তারা। এটা তাদের মিথ্যা কথা।

মেলা কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মুঠোফোনে বলেন, ফজলু ও আইনুল মেম্বার এগুলো ভালো বলেত পারবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরিদার বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে কল দিলে তাকে পাওয়া যায় নি।

(কেএএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯)