আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : জেলার উজিরপুর উপজেলার মুন্সিরতাল্লুক গ্রামে কলেজ ছাত্র ইমরান হোসেনকে জবাই করে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনার মূলহোতা প্রতিবেশী আরিফুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তার কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দা, রক্তমাখা গেঞ্জি, ট্রাউজার এবং নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার সকালে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আরিফুল হক পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কলেজ ছাত্র ইমরানকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। হত্যাকান্ডের কারণ হিসেবে সে (আরিফুল) জানিয়েছে, তার প্রতিবেশী বন্ধু ইমরান দীর্ঘদিন থেকে আরিফুলের স্ত্রীকে উত্যক্ত করে আসছিলো। তার স্ত্রীর ছবির সাথে ইমরান নিজের ছবি দিয়ে অশ্লীল ছবি বানিয়ে হয়রানি করে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে ইমরানকে সতর্ক করায় সে আরও ক্ষিপ্ত হয়।

ঘটনার দিন গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে আরিফুল তার ঘরের পেছনে ইমরানকে দেখে একান্তে কথা বলার জন্য বাড়ির পুকুরের পাশে অনাবাদি জমিতে নিয়ে যায়। এসময় আরিফুল তার স্ত্রীর অশ্লীল ছবি ইমরানের মোবাইল ফোন থেকে মুছে ফেলতে অনুরোধ করলেও সে (ইমরান) গরিমসি করে। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আরিফুল তার সাথে থাকা ধারালো দা দিয়ে ইমরানের ঘাড়ে এবং গলায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।

পরেরদিন সকালে পুলিশ ইমরানের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা সরোয়ার হোসেন হাওলাদার বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে উজিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নাসির উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র আরিফুল ইসলামকে বুধবার রাতে সন্দেহজনকভাবে আটক করে। পরবর্তীতে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আরিফুল হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।

(টিবি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯)