আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : শিশু গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের পর ঘটনা ধামাচাঁপা দেয়ার জন্য শিশুটিকে শারিরিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ ধর্ষক মাসুম, গৃহকর্তা মজিবর রহমান ও তার স্ত্রী শাহেলা রহমান লিপিকে আটক করেছে।

নির্যাতিতা শিশুটির (১৩) বরাত দিয়ে ওসি আব্দুর রহমান মুকুল শুক্রবার সকালে জানান, তিন বছর পূর্বে তার পিতা মারা যাওয়ার পর মা তাকে ফেলে অন্যত্র চলে যায়। এরপর পার্শ্ববর্তী মনোয়ারা বেগম নামের এক মহিলা তাকে একবছর পূর্বে রহমতপুরের একটি কনফেকশনারীর মালিক মজিবর রহমানের বাসায় এনে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজে দেয়। অতিসম্প্রতি গৃহপরিচারিক ওই শিশুর ওপর লোলুপদৃষ্টি পরে মজিবরের দোকানের কর্মচারী মাসুমের। কয়েকদিন পূর্বে দুপুরে বাসা খালি থাকার সুযোগে ওই শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে মাসুম। গৃহকর্তী বাসায় ফিরলে শিশুটি তাকে বিষয়টি জানায়।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনাটি ধামাচাঁপা দেয়ার জন্য গৃহকর্তী শাহেলা ওই শিশুটিকে মারধর করে কাপড় ইস্ত্রি করার আয়রন দিয়ে ছ্যাকা দেয়। বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ মজিবরের বাসায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে উদ্ধার ও গৃহকর্তা মজিবর, তার স্ত্রী ও ধর্ষক মাসুমকে আটক করেছেন। এ ঘটনায় থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই অরবিন্দ বিশ্বাস বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

(টিবি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯)