ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীর পাকশীতে ঐতিহ্যবাহী ফুরফুরা সিলসিলার ৮৯তম বার্ষিক ইছালে ছাওয়াব ও ওয়াজ মাহফিলে শুক্রবার জুম্মার নামাযে লক্ষাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেছে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় মুসুল্লীরা বিভিন্ন সড়কে বসেই জুম্মার নামাযে শরীক হয়। 

ইছালে ছাওয়াব ও ওয়াজ মাহফিল পরিচালনা ও জুম্মার নামাযে ইমামতি করেন, ফুরফুরার গদ্দীনশীল পীর মাওলানা আবু বকর আব্দুল হাই মিশকাত সিদ্দিকী আল-কোরাইশি । এসময় মঞ্চে অতিথি ছিলেন, ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা শামসুর রহমান শরীফ এমপি। এমপি শরীফ এসময় বিশ্বের মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করে বলেন, বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলিম সম্প্রদায় ফুরফুরা শরীফের উপর আস্থাশীল। যার প্রমাণ আজকের এই লাখো মানুষের ঢল।

প্রতি বছরের মতো ফাল্গুণ মাসের প্রথম বুধবার গত ১৩ই ফেব্রুয়ারী বাদ আছর হতে পাকশীতে ঐতিহ্যবাহী ফুরফুরা সিলসিলার ৮৯তম বার্ষিক ইছালে ছাওয়াব ও ওয়াজ মাহফিল শুরু হয়েছে। ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও ভারতের আমন্ত্রিত ওয়ামায়ে কেরামের বয়ানের মধ্য দিয়ে এই মাহফিল চলছে। শনিবার বাদ ফজর আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মাহফিলের কার্যক্রম শেষ হবে।

ফুরফুরার গদ্দীনশীল পীর মাওলানা আবু বকর আব্দুল হাই মিশকাত সিদ্দিকী আল-কোরাইশি ছাড়াও এই মাহফিলে ওয়াজ করছেন ফুরফুরার মেজ হুজুর হজরত মাওলানা আবু ইব্রাহিম মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ সিদ্দিকী আল-কোরায়শি, সেজ হুজুর হযরত মাওলানা আবু তাহের মোহাম্মদ মতিউল্লা সিদ্দিকী, ছোট হুজুর হযরত মাওলানা আবু বকর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী আল-কোরাইশি।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ লাখো লাখো মুসল্লি মাহফিল ময়দানে সমবেত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, পাকশীতে ফুরফুরার এ মারকাজ প্রতিষ্ঠা করেন শায়খুল ইসলাম আল্লামা আব্দুল হাই সিদ্দিকী (রহ.)। পরবর্তীতে এ মারকাজের হাল ধরেন ফুরফুরার পীর মাওলানা আবুল আনসার আব্দুল কাহহার সিদ্দিকী (রহ.)। সেই ধারাবাহিকতা আজও বিদ্যমান।

(এসকেকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯)