পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুর-৩ আসনের (মঠবাড়িয়া) স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. রুস্তুম আলী ফরাজীর সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ছাত্র ও যুবলীগের অর্ধশত নেতা কর্মীরা মঙ্গলবার দুপুরে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। হামলায় পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) প্রায় ১০-১২ জন আহত হয়েছেন।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিন মল্লিক সাংবাদিকদের জানান, কয়েক দিন আগে উপজেলার সাফা বন্দরে সংসদ সদস্যের একটি অনুষ্ঠানে সরকারি দলের কর্মীদের সঙ্গে সংসদ সদস্যের কর্মীদের মারামারির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জের ধরে থানায় ছাত্রলীগের কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলায় সাফা বন্দর কলেজ ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি পিনজু শাহ্কে পুলিশ গতকাল সোমবার রাতে গ্রেফতার করে।

এদিকে, হামলা মামলা ও গ্রেফতার এবং আইনশৃংখলার আর অবণতি না ঘটে সে লক্ষ্যে মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে সংসদ সদস্য রুস্তুম আলী ফরাজী স্থানীয় ডাকবাংলার সন্মুখে সমাবেশ করেন এবং সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এর কিছুক্ষন পর উপজেলা ছাত্র ও যুবলীগের নেতা কর্মীরা ওই ছাত্রলীগ সদস্যের গ্রেফতারের প্রতিবাদে ডাকবাংলার সন্মুখ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে যাবার সময় ডাকবাংলার ভেতরে ঢুকে পরে। এসময় সংসদ সদস্যের সমর্থকরা বাধাঁ দিলে উভয় গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ হয়। এসময় বিক্ষুব্ধরা ডাকবাংলার চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে। তখন সংসদ সদস্য আত্ম রক্ষার্থে দোতলায় গিয়ে আশ্রয় নেন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে সকলকে নিবৃত্ত করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক কামরুল আকন জানান, সাফা বন্দরে সংসদ সদস্য আওয়ামীলীগ ও প্রধান মন্ত্রীকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করে এবং মঙ্গলবারের ঘটনার দিনেও তিনি বাজে মন্তব্য করায় আমরা এর প্রতিবাদ করায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এ ব্যপারে ডা. রুস্তুম আলী ফরাজীর সঙ্গে সেল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘আমি যে কোন উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের পক্ষে সর্বদা। আমি নিজে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও সব সময় প্রধান মন্ত্রীর ভাবমূর্তি উজ্জল রাখতে চাই, কিন্তু সরকারি দল তা চায়না। তিনি আরও বলেন, সরকারি দলের (ছাত্র-যুবলীগ) লোকজন আমার সমর্থক চুন্নু, হুমাউন, সাইদুর, ইউসুফ, আনোয়ার ও মালেকসহ ১০-১২ জনকে দেশী অস্ত্র নিয়ে হামলা করে আহত করেছে’।

(এসএ/এটিঅার/জুলাই ২২, ২০১৪)