রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বাসাবাড়ী থেকে হায়দরগঞ্জ পর্যন্ত চলে যাওয়া প্রধান রাস্তার মাঝখানে  পোতা তিনটি বিদ্যুৎ খুটি ও কারণে রাস্তায় চলাচল কারী যানবাহন ও পথচারী সাধারণ মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে অন্ধকারে অচেনা পথচারীরা প্রায়ই দুঃঘটনায় পতিত হচ্ছে। হঠাৎ করে আসা কোন যন্ত্রচালিত যানবাহন এই খুটির সাথে ধাক্কা খেলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই পল্লীবিদ্যুতের এসব খুটিগুলো দ্রুত সরিয়ে নেয়ার জন্য এলাকাবাসী দাবী জানিয়েছেন।

জানা যায়, রায়পুরের প্রত্যন্ত জনপদ চরমোহনা গ্রামের প্রধান রাস্তার মাঝে প্রায় ৭-৮ বছর আগে বৈদ্যুতিক খুঁটি পুতে গ্রামবাসীদেরকে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়া হয়েছে। এতে ওই রাস্তা দিয়ে উপজেলা সদর বাজারে চলমান ভ্যান রিক্সা প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি করছে। হাজারো পথচারী, গ্রাামবাসী ও বিভিন্ন বয়সের লোকজন দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, ওই খুটির কারণে আমাদের স্কুল ও মাদ্রাসায় যাতায়াতে খুবই সমস্যা হয় এবং চলাচলরত যানবাহন খুটির সাথে ধাক্কা লেগে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা থাকলেও সেটি আমলে নিচ্ছে না কতৃপক্ষ।

গ্রামবাসী আব্দুস সাত্তার ও আবুল হোসেন, গৃহবধু মমেনা বেগম, ছাবেরা বেগম জানান, রাতের বেলা ওই খুটির সাথে ধাক্কা লেগে অনেকেই হাত-পা ভেঙ্গে আহত হয়েছেন। তাছাড়া খুঁটিগুলোতে সড়ক বাতি না থাকায় রাতের বেলায় যে-কোনও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের অভিয়োগ উপজেলার এই সড়কে প্রতিনিয়ত শত শত যানবাহন চলাচল করলেও এ সমস্যা সমাধানের নেই কারও কোনও উদ্যোগ। সমস্যার সমাধান করতে পারেন এমন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কারও কোনও মাথা ব্যথা নেই। কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার বলেও কাজ হয়নি। এলাকাবাসী ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে জনসাধারণের চলাচলের জন্য এবং জীবন রক্ষার্থে অতি দ্রুত এই তিনটি খুঁটি সড়কের মাঝখান থেকে অপসারণ করে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।

রায়পুর পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম শেখ মনোয়ার মোর্শেদ বলেন, আমি নতুন এসেছি। বিদ্যুতের খুটি স্থাপনের কাজটি অফিসের নির্দেশে ঠিকাদার করে থাকেন। রাস্তায় কাজ করার সময় ঠিকাদারা তাদেরকে বিষয়টি জানালে এধরনের সমস্যা হতো না। ঘুটিটি এক্ষুনি সরিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।

(পিকেআর/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯)