স্টাফ রিপোর্টার : ঈদের মাত্র কয়েক দিন বাকি। ঈদ উপলক্ষে দেশজুড়ে কেনাকাটায় ধুম পড়েছে। অন্যান্য পণ্যের মতো ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজারও জমজমাট।

এবারের ঈদে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে মোবাইল ফোন সেট। দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের মোবাইল ফোন সেট এখন ক্রেতাদের মধ্যে হট কেক। বিশেষ করে আধুনিক তরুনদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ওয়ালটনের স্মার্টফোন।
রাজধানীর কয়েকটি শোরুম ঘুরে দেখো গেছে, ওয়ালটন সেটের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। বসুন্ধরা সিটির ওয়ালটন প্লাজা ম্যানেজার আকরামুজ্জামান অপু জানান, ঈদ উপলক্ষে প্রিমো এক্স-৩, এইচ-৩ এবং জিএইচ-২ মডেলের হ্যান্ড সেটের দাম কমানো হয়েছে। এছাড়াও সি-৩ মডেলের হ্যান্ডসেট সম্প্রতি বাজারে এসেছে। এই হ্যান্ডসেটটির দাম হাতের নাগালে এবং এতে রয়েছে সাধারণ কিছু ফিচার। তিনি আরো জানান, ওয়ালটন বাজারে এনেছে বিশ্বের সবচেয়ে স্লিম ফোন এক্স-৩ ( প্রিমো এক্স থ্রি ব্লেড)। যা ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
মতিঝিলে ওয়ালটন স্মার্টজোনে গিয়ে দেখা যায় সেখানেও ক্রেতাদের ভীড়। এখানকার বিক্রেতা জানালেন, ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে মোবাইল ফোনের ক্রেতা ততই বাড়ছে। জানা গেছে, বাজেটে শুল্কহার পরিবর্তনের কারণে মোবাইল হ্যান্ডসেটের দাম কিছু বেড়ে যাওয়ায় বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে সেই ধাক্কা সামলে মোবাইল ফোনের বাজার আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজেটে মোবাইল ফোনের উপর শুল্ক বৃদ্ধির পর এক্ষেত্রে আন্ডার ইনভয়েসিং বেড়ে গেছে। এছাড়া চোরাই পথে, এমনকি লাগেজ পার্টির মাধ্যমে অনেক সেট আসছে দেশে। ফলে বৈধ আমদানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
ওয়ালটন মোবাইল ফোন বিভাগের প্রধান এস এম রেজওয়ানুল আলম জানান, বাজারে সবচেয়ে বেশি মডেলের মোবাইল হ্যান্ডসেট রয়েছে ওয়ালটনের। বর্তমানে তাদের মডেল সংখ্যা ২৫টি এবং সবগুলো হ্যান্ডসেটই আশানুরূপ সাড়া ফেলেছে । ঈদে ওয়ালটন হ্যান্ডসেট হটকেকের মতো বিক্রি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো জানান, যারা স্মার্টফোনে এখনো অভ্যস্ত হতে পারেননি তাদের কথা চিন্তা করে আগামী মাসে একটি ‘বাটনফোন’ বাজারে আনবে ওয়ালটন। এইচএম-৯ মডেলের এই সেটের দাম হবে দুই হাজার টাকার নিচে। তার মতে, উন্নত প্রযুক্তি, দামে সাশ্রয়ী হওয়ার কারণে দেশী ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোনের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে।
জানা গেছে, দেশে স্মার্টফোনের বাজার দিনদিন বড় হচ্ছে। মানুষের চাহিদা কথা বিবেচনা করে নতুন নতুন মডেল বাজারে আনছে ওয়ালটন।
ওয়ালটনের অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম জানান, প্রতি মাসে ওয়ালটন হ্যান্ডসেট বিক্রির প্রবৃদ্ধি ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। দেশের বাজারে বিক্রির দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ওয়ালটন। ঈদের কারণে চাহিদা বেড়েছে। বাজারও জমে উঠেছে। ঈদের আগের দিনগুলোতে প্রচুর হ্যান্ডসেট বিক্রি হবে বলে তার প্রত্যাশা।
মানুষের চাহিদার কথা বিবেচনা করে দেশে মোবাইল সেট তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হলে উদয় হাকিম বলেন, অবশ্যই পরিকল্পনা রয়েছে। এ বিষয়ে গবেষণা ও উন্নয়নের কাজ চলছে। তবে মোবাইল ফোনের কাঁচামালের উপর শুল্কহার অনেক বেশি। যা ম্যানুফ্যাকচারিং এর জন্য লাভজনক নয়। সরকার এ বিষয়ে পলিসিগত সাপোর্ট দিলে এদেশে অনেক মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে।

(এমএ/এটিআর/জুলাই ২২, ২০১৪)