ক্রাইম রিপোর্টার, নীলফামারী : কৃষক আব্দুল জব্বার (৪০) হত্যা মামলার রায় ঘোষণার প্রায় পাঁচ বছর পর মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী তুলাব মিয়া(৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

তুলাব নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের নিতাই ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে।আজ শনিবার(১৬ ফেব্রুয়ারি) কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি হারুন অর রশিদ সংবাদ সম্মেলন করে জানান, গোপন সংবাদ পেয়ে গাজীপুর পুলিশের সহায়তায় কিশোরীগঞ্জ থানার এসআই শাহ আলমের নেতৃত্বে গতকাল শুক্রবার(১৫ ফেব্রুয়ারী) কালিয়াকৈরের আন্দারমানিক পূর্বপাড়ায় অভিযান চালিয়ে দন্ডপ্রাপ্ত আসামী তুলাবকে গ্রেফতার করা হয় । সেখানে আজম নাম ধারণ করে তুলাব নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে কাজ করত।

আজ তাকে আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) অশোক কুমার পাল জানান, কৃষক আব্দুল জব্বার হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আরো ৬ ও যাবজ্জীবন প্রাপ্ত ১জনসহ ৭ আসামী এখনও পলাতক রয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গ্রামের মৃত ঘাউয়া মামুদের ছেলে ঢেরাই ওরফে রফিকুল ইসলাম (৪৬),আমির উদ্দিনের ছেলে তুলাব একই উপজেলার উত্তর কুঠিপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে কৃষক আব্দুর জব্বারের বিরোধ ছিল। বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ রফিকুল ইসলাম ও তুলাব মিয়া ভাড়া করে লোক এনে ২০০৮ সালের ২৭ জুলাই রাত আনুমানিক ১২টার দিকে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বাগাগিলি ইউনিয়নের নিতাই ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল জব্বারকে তুলে এনে একই ইউনিয়নের অদুরে নয়নখাল নামক স্থানে হাত পা ও চোখ বেধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করেন। ঘটনার পর দিন ২৮ জুলাই হত্যার শিকার আব্দুর জব্বারের ছেলে আব্দুস সালাম বাদি হয়ে ১১জনকে আসামী করে কিশোরীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

দীর্ঘ শুনানীর পর ২০১৪ সালের ১৬ জুন দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে এক আসামীর উপস্থিতিতে ও অন্যান্য আসামীদের অনুপস্থিতে নীলফামারীর অতিরিক্ত দায়রা জজ তৎকালিন রেজা আলমগীর হাসান উক্ত রায় প্রদান করেন। ওই রায়ে দুই আসামী খালাশ পায়। সেই থেকে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী তুলাব পলাতক ছিলেন ।

(এস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯)