সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : একেই বলে রাজনৈতিক জীবনের ত্যাগ। ভোগে শান্তি নেই ত্যাগেই শান্তি একথা আবারো বাস্তবে প্রমান করলেন কেন্দুয়া পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পদপ্রার্থী মো: কামরুল হাসান ভূঞা।

দলের সকল সারির নেতাকর্মী ও হাজার হাজার কর্মী সমর্থকের ইচ্ছা ছিল কামরুল হাসান ভূঞা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন, চেয়ারম্যান পদে ভোটাধিকার প্রয়োগের একটা সুযোগ তৈরি হলো। এতদিন দুইজন প্রার্থী থাকায় উপজেলার সর্বত্র খুব মুখরুচক আলোচনা ও সমালোচনা চলছিল। অনেকেই বলেছেন কামরুল নির্বাচনে অংশ নিলেই বিজয়ী হবেন।

আবার অনেকেই বলছেন নির্বাচনে কে হারবে কে জিতবে তা বলা খুব মুশকিল তবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি কামরুল হাসানের। কিন্তু রাজনৈতিক দূরদর্শীতা ও দলের শৃঙ্খলা ও ঐক্যের প্রশ্নে কামরুল হাসান ভূঞা মঙ্গলবার রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন। এতে তার শত শত কর্মী সমর্থক ও ভক্তরা সাময়িকভাবে মনে কষ্ট পেলেও কামরুল হাসান বলেন, দলের সিদ্ধান্তই আমার কাছে চূড়ান্ত। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যার হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছেন তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী।

ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করে আজ এখান পর্যন্ত এসেছি। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই। প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো: নুরুল ইসলাম, এম.পি অসীম কুমার উকিল তার সহধর্মীনি অধ্যাপক অপু উকিল, পৌর মেয়র মো: আসাদুল হক ভূঞা ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি কামরুল হাসান ভূঞা সহ তার সঙ্গের সকল সারির নেতাকর্মীদের প্রতি অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। তিনি বলেন, দল আমাদের ছাতা, এক ছাতার নীচে, এক আদর্শে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা পথ চলছি, আগামী দিনেও পথ চলব এই আশায় কামরুল হাসান ভূঞার বিশাল ত্যাগের জন্য তিনি হাজারো অভিনন্দন জানান।

(এসবি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯)