গাইবান্ধা প্রতিনিধি : আর কত দিন গেলে মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতা জুটবে গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইদ্রিস আলীর কপালে?

জানা গেছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নের মাস্টার পাড়া গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী অভাব-অনাটনের সংসার জীবনের শেষ মুহূর্তে খেয়ে না খেয়েই কোনমতে জীবন ধারন করে আসছে।

মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকা সত্বেও মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা থেকে আমি আজও বঞ্চিত। সরকারি বরাদ্দকৃত মুক্তিযোদ্ধা ভাতার টাকা চালু করার জন্য কর্তা ব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে ধর্না দিয়েও আজও আমার সম্মানি ভাতার ব্যবস্থা হয়নি।
১১ নং সেক্টরের অধিনে যুদ্ধ করা ইদ্রিস আলীর নাম সবুজ তালিকায় অর্ন্তভুক্ত হলেও কোন কারনে লাল তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়নি তা তিনি জানেন না।

তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭মার্চ ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে শক্রর হাত থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে ১৯ অক্টোবর ১৯৭১ সালে প্রশিক্ষন শেষে গাইবান্ধা সদর উপজেলার পুলবন্দি, দারিয়াপুর, সুইচ গেট, ফুলছড়ি এলাকায় অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম সুজার নেতৃত্বে শত্রু সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি। সাহসী ভূমিকার কারণে আমার বন্ধু-বান্ধব এবং এলাকাবাসী আমার প্রতি আস্থাশীল ছিল। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের সবুজ তালিকার ০৩১৭০১০০১০ নাম্বারে রয়েছে আমার নাম। তবে লাল তালিকায় ০৩১৭০১০০১৯ ও ০৩১৭০১০০১১ নাম্বার থাকলেও মাঝে আমার নাম্বারটা লাল তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করা হয়নি।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাগুড়িয়া গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাদেকুর রহমান জানান, ইদ্রিস আলী এলাকায় ট্রেনিং শেষে মেঘালয়ের কাকড়িপাড়া গিয়েছিল আমাদের যাওয়ার পরে এবং সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছে এটা আমি জানি। কি কারণে আজ পর্যন্ত তার কপালে মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা জুটলো না তা আমাদের অজানা এবং ভাতা না পাওয়ার বিষয়টি সত্যই দুঃখজনক। তাই তিনি তার নাম লাল তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করাসহ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাবার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

(এসআইআর/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯)