স্টাফ রিপোর্টার : রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা ও তপন জ্যোতি চাকমা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ইউপিডিএফ’র শীর্ষ নেতা আনন্দ প্রকাশ চাকমাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

রবিবার বিকেলে সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর শেরে বাংলানগর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-২ এর একটি দল।

র‌্যাব-২ এর স্পেশাল কোম্পানি কমান্ডার (সিপিসি) মেজর মোহাম্মদ আলী বলেন, বিকেল সাড়ে ৩টায় শেরে বাংলা নগর এলাকার স্টাফ কলোনিতে মেয়ের ভাড়া বাসা থেকে আনন্দ প্রকাশ চাকমাকে গ্রেফতার করা হয়। আজকেই শেরে বাংলা থানার মাধ্যমে তাকে সংশ্লিষ্টদের হাতে হস্তান্তর করা হবে।

তিনি আরও বলেন, পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ এর ৪র্থ তম শীর্ষ নেতা আনন্দ প্রকাশ চাকমা। কেন্দ্রীয় কমিটিরও সদস্য তিনি।

রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা ও তপন জ্যোতি চাকমা হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী আনন্দ প্রকাশ। এ ছাড়াও আরও ৬টি হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ইউপিডিএফের এ শীর্ষ নেতা।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৩ মে রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতি-জেএসএসের (এমএন লারমা) সহ-সভাপতি শক্তিমান চাকমাকে হত্যা করা হয়।

এর একদিন পরই শক্তিমানের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে খালিয়াজুড়ি এলাকায় দুর্বৃত্তদের ফের হামলায় নিহত হয় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফের (গণতান্ত্রিক) আহ্বায়ক তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মা, জেএসএসের সহযোগী সংগঠন যুব সমিতির (এমএন লারমা) মহালছড়ি শাখার সভাপতি সুজন চাকমা, সদস্য তনয় চাকমা, রবিন চাকমা এবং তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসচালক মো. সজীব।

ওই সময় জেএসএসের (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক বাঘাইছড়ি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা জানান, শক্তিমানের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে সংগঠনের ১২ জন নেতাকর্মী খাগড়াছড়ি থেকে মাইক্রোবাসে করে রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। পথে বেতছড়ি এলাকায় তাদের গাড়িতে অতর্কিতে ‘ব্রাশফায়ার’করা হয়। তার দাবি, ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আগের দিন শক্তিমান চাকমাকেও হত্যা করেছে তারাই।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯)