স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : জয় ছাড়াই এশিয়া কাপ মিশন শেষ হল বাংলাদেশের। এশিয়া কাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে বাংলাদেশ হারল ৩ উইকেটে। বাংলাদেশের ২০৪ রানের চ্যালেঞ্জ ম্যাথুজের ফিফটিতে লঙ্কানরা পেরিয়ে যায় ৬ বল বাকি থাকতে।

২০৪ রানের অল্প পুঁজি নিয়েও একটা সময় লড়াই জমিয়ে তুলেছিল বাংলাদেশ। ৮ রানে ৩ উইকেট নেয়ার পর ৭৫ রানে শ্রীলঙ্কার ৫ জনকে প্যাভিলিয়ানে পাঠিয়েছিল তারা। কিন্তু ম্যাথুজ,থিরিমান্নে,চতুরঙ্গ ডি সিলিভাদের দৃঢ়তায় সব ম্যাচে জয় নিয়েই ফাইনালে খেলার কৃতিত্ব দেখাল লঙ্কানরা।

অল্প রানের পুঁজি নিয়েও অবশ্য লড়াই করেছিল বাংলাদেশ। ৮ রানে শ্রীলঙ্কার তিন উইকেট নিয়ে শুরুতেই ধাক্কা দেয় তারা। সেই চাপটা কাটিয়ে শ্রীলঙ্কা ৫ উইকেটে ১৫৭ করায় ম্যাচটা হাতফস্কে যাচ্ছিল বাংলাদেশের। তবে ষষ্ঠ উইকেটে ম্যাথুজের সাথে ৮২ রানের জুটি গড়া চতুরঙ্গ ডি সিলভাকে ফিরিয়ে আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। ৫২ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৪৪ করা সিলভাকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মাহমুদু্ল্লাহ। কিন্তু গলার কাঁটা হয়েছিলেন অধিনায়ক ম্যাথুজ। ১৯তম ওয়ানডে ফিফটি করে টেলএন্ডারদের সঙ্গে নিয়ে কোন অঘটন ঘটতে দেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত ম্যাথুজ অপরাজিত থাকেন ৭৪ রানে।

৮ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর থিরিমান্নে ও প্রিয়ঞ্জন চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৩৯ রানের জুটি। ২৪ করা প্রিয়ঞ্জনকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে জুটিটা ভাঙ্গেন জিয়া। অথচ এই জিয়াকে পাকিস্তানের সাথে বলই দেননি মুশফিক। সেই মুশফিকের মিসে সাকিবের বলে ২২ রানে থাকা প্রিয়ঞ্জন জীবনও পেয়েছিলেন আজ। প্রিয়ঞ্জন ফেরার পর ওপেনার থিরুমান্নেও বেশিক্ষণ ছিলেন না আর। আরাফাত সানির বল তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনসে রুবেলের অসাধারণ ক্যাচে পরিণত হন তিনি। ৬০ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৩৩ রানের ইনিংস আসে তার উইলো থেকে।


(ওএস/অ/মার্চ ০৬, ২০১৪)