রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো: মেহেদী হাসান অন্য উপজেলায় বদলির আদেশ পাওয়ার পড়েও তার নতুন কর্মস্থলে যোগদান না করার অভিযোগ উঠেছে। বদলির আদেশ জারীর পর থেকেও তিনি রাণীনগর উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। আর বদলির আদেশের প্রায় ১০-১১ দিন পর তার বদলির আদেশ আবার স্থগিত করেছেন কর্তৃপক্ষ।

সূত্রে জানা গেছে, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন-১) ড. মো: হাবিব উল্লাহ বাহার স্বাক্ষরিত ৫১.০১.০০০০.০০৩.১৯.০১২.১৮.১৮৪ নম্বর স্মারকের এক অফিস আদেশের মাধ্যমে রাণীনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: মেহেদী হাসানকে জনস্বার্থে এবং প্রশাসনিক কারণে কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর উপজেলায় শূন্য পদে যোগদান করার জন্য বদলির আদেশ গত জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখে জারী করেন। আদেশে বলা হয়েছে ২৪ তারিখের মধ্যে রাণীনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: মেহেদী হাসান তার নতুন কর্মস্থলে যোগদান করবেন।

অফিস আদেশে আরো বলা হয় কর্মকর্তা যদি তার নতুন কর্মস্থলে ২৪ জানুয়ারির অপরাহ্নের মধ্যে যোগদান না করেন তাহলে তখন থেকে তিনি কর্মবিমুক্ত বলে গণ্য হবেন। কিন্তু সেই প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তার নতুন কর্মস্থলে যোগদান না করে রাণীনগর উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। বদলির আদেশের প্রায় ১০-১১ দিন পর তার বদলির আদেশ রহস্যজন কারনে আবার স্থগিত করা হয়।

বিষয়টি নিয়ে অনেকের মাঝে এক মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে আর প্রতিনিয়তই জন্ম দিচ্ছে নানা প্রশ্নের। এ ছাড়াও তিনি এই উপজেলায় গত ২০১২ সাল থেকে কর্মরত আছেন। একজন সরকারি কর্মকর্তা একটি স্থানে কিভাবে এতটা বছর থাকতে পারেন এই প্রশ্ন এখন মানুষের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: মেহেদী হাসান মুঠোফোনে বলেন, আমার বদলির আদেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ আবার গত ৩ ফেব্রুয়ারি তারিখে স্থগিত করেছেন।

এ বিষয়ে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আল মামুন বলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বদলির খবর আমি শুনেছি। বিষয়টা অফিসিয়াল ব্যাপার।

এ ব্যাপারে নওগাঁ জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা একেএম মান্নান এর কাছে মুঠোফোনে রাণীনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসানের বদলির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ বদলির আদেশ দিয়েছিলো আবার বদলির আদেশ স্থগিত করেছেন তবে কত তারিখে তার বদলির আদেশ স্থগিত করেছে তারিখটা এখন আমার সঠিক মনে নেই।

(এসকেপি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯)