বিনোদন ডেস্ক : প্রচলিত গানের বাজারে নব্বই দশকের কলকাতায় এক আলাদা সুর আর কথায় গেয়ে উঠলেন এক গায়ক। তার গানে প্রথমবার শ্রোতারা শুনতে পেলো মুগ্ধতা জাগানিয়া এক সুর। ‘প্রথমত আমি তোমাকে চাই, দ্বিতীয়ত আমি তোমাকে চাই, তৃতীয়ত আমি তোমাকে চাই, শেষ পর্যন্ত আমি তোমাকে চাই’। অসাধারণ এই গায়কী শক্তির প্রতি মানুষের আগ্রহ জন্মালো। বলতে গেলে মানুষকে সম্মোহনের বন্ধনে আবদ্ধ করে দিলেন প্রথম অ্যালবাম ‘তোমাকে চাই’ দিয়েই। নাম তার কবীর সুমন। গানের ফেরিওয়ালা। অথচ এই সময়ে এসে তিনিই নাকি ছবির গানে কাজ পাচ্ছেন না!

নিজেই জানালেন, তাকে এখন ছবির গানে কেউ কোনো কাজ দেয় না। জানতে চাইলেন, কেনো তাকে সবাই এড়িয়ে যায়?

বাংলার সমস্ত ন্যায্য দাবী দাওয়ার পক্ষে প্রতিনিয়ত গানে সুরে কণ্ঠেই প্রতিরোধে নামেন শিল্পী কবীর সুমন। এটা তার পুরনো অভ্যেস। কিন্তু এবার এই শিল্পী ক্ষোভ ঝারলেন, কলকাতায় এই সময়ে যারা সিনেমার কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের প্রতি। জানতে চাইলেন, কেনো তাকে ছবির কাজ দেওয়া হয় না?

মুক্তি প্রতীক্ষিত কলকাতার ছবি ‘শঙ্কর মুদি’র সংবাদ সম্মেলন হয়েছে সম্প্রতি। সৃজিত মুখার্জীর ‘জাতিস্বর’ ছবির পর কোনো সিনেমায় মিউজিক করলেন কবীর সুমন। সেই সুবাধে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তিনিও।

বহুদিন পর সিনেমার কাজে সুমন, কেন? জানতে চাইলে সরাসরি ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিখ্যাত এই মিউজিশিয়ান। জানান, আমাকে কেউ ছবির কাজ দেয় না। কেনো দেয় না সেটা তাদেরকেই গিয়ে জিজ্ঞেস করুন।

সৃজিত মুখার্জীকে উদ্দেশ্য করে কবীর বলেন, একজন আমাকে কাজ দিয়েছিলো কারণ সেই ছবির কাজ ভারতে আর কেউ করতে পারতো না। অর্থ্যাৎ বাংলার কবিদের লেখা গানে আর কেউ সুর দিতে পারতো না বলে আমাকে নিয়েছিলো, নাহলে নিতো না। আমাকে কেউ এমনিই ছবি দেয়? দেয় নাতো!

বহুদিন পর ‘শঙ্কর মুদি’ ছবিতে কেন প্রযোজক বা পরিচালক তাকে নিয়েছেন সেটা নিয়েও কথা বলেন সুমন। বলেন, এই ছবিতে পরিচালক বা প্রযোজক আমাকে কেনো নিয়েছেন আমি জানি না। এদের কাউন্সিলিং দরকার, মনরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। না হলে আমাকে কেন নিয়েছেন?

(ওএস/এসপি/মার্চ ০১, ২০১৯)