রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : রায়পুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এডবোকেট মারুফ বিন জাকারিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের সমর্থীত প্রার্থী হয়ে জয় লাভ করতে চান। রায়পুরে উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়মীলীগের ৯ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী ফরম জমা দিয়ে থাকলেও তাদের মধ্যে সবচেয়ে মাঠে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন মারুফ।

তিনি স্কুলজীবনে ছাত্র রাজনীতিতে হাতেখড়ি। তাই বর্তমানে দলে বড় কোন পদে না থাকলেও স্কুলজীবন থেকে ছাত্রলীগের সাথে জড়িত থাকা দলের মধ্যে রয়েছেন শক্ত অবস্থানে।

মারুফ বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সংগঠনকে শক্ত শালি করতে গিয়ে জামায়াত-বিএনপি মৃত্যু নিশ্চিত করে একাধিক হামলায় আল্লাহর অসেশ রহমতে বেঁচে গিয়ে অন্দোলে অংশ গ্রহক করেছি। বর্তমানে নানা চাপের মধ্যেও দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে আছি। যে কারণে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনী এলাকায় চালিয়ে যাচ্ছি প্রচার-প্রচারণা। পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা নেতাদের অবহিত করছি নিজ প্রার্থিতার জন্য সহযোগিতা করতে। এলাকার ভোটারদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে খুব অল্প সময়। কারণ ভাইস চেয়ারম্যান পতে অনেক আমি সহ ৯ জান প্রার্থী আছেন নির্বাচন। এর মধ্যে অনেকেই ভোট এলে এলাকার মানুষ তাদের চোখে দেখেন না। দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমার রয়েছে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ। তাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এলাকার মানুষের পাশেই থাকতে চাই। আমি নির্বাচিত হলে সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি নির্মূল করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা লক্ষে কাজ করে যাবো। এ ছাড়াও সাংবাদিকদের জন্যে সরকারি জায়গায় প্রেস ক্লাব করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

ভোটে বিজয়ের বিষয় তিনি বলেন, আমি হঠাৎ রাজনীতিতে আসিনি। তৃণমূল থেকে ছাত্র রাজনীতি করে এই পর্যায়ে এসেছি। রাজপথে থেকে বহু হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। নেত্রী বলেছিলেন, ত্যাগী নেতাদের কাছে আমাদের দল সবচেয়ে নিরাপদ। তাই আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলীয় নেতাকর্মীরা নেত্রীর কথা চিন্তা করে আমাকেই ভোট দিবেন বলে আমি শতভাগ আশাবাদী।

প্রসঙ্গত- ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী রায়পুর উপজেলায় তৃতীয় ধাপে এক যোগে ভোট হবে। এতে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৬ ফেব্রুয়ারি, বাছাই ২৮ ফেব্রুয়ারি, প্রত্যাহার ৭ মার্চ এবং ভোটগ্রহণ করা হবে ২৪ মার্চ। রায়পুর উপজেলায় ভোটার ২ লাখ ১ হাজার ৪৯২ জন।

(পি/এসপি/মার্চ ০১, ২০১৯)