রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সারা দেশের ন্যয় সাতক্ষীরায় সাম্প্রতিক কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ইটভাটাগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে জেলার শতাধিক ইটভাটার পাড়ান। এতে করে নষ্ট হয়েছে পাড়ান ও খাড়ির  প্রস্তুতকৃত লাখ লাখ কাঁচা ইট। মাথায় হাত উঠেছে ইটভাটা মালিকদের। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন ভাটা মালিকরা।

সাতক্ষীরা জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম জানান, নিম্নচাপের ফলে গত সপ্তাহের রবিবার থেকে বৃহষ্পবিার ভোর পর্যন্ত থেমে থেমে বা টানা বৃষ্টিপাত হয়েছে। কোথাও বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো বাতাস ও শিলা লক্ষ্য করা গেছে। এর ফলে বিশেষ করে কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফসল, ঘরবাািড় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ইটভাটাগুলোতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিতে ভাটাগুলোর চাতান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পাড়ান ও খাঁড়ির উপর রাখা কাচা ইট সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়ে পোড়ানোর অনুপযোগী হয়ে উঠেছে।

মৌসুম শুরুতেই ভাটা প্রতি ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার কাচা ইট নষ্ট হওয়ায় জেলার শতাধিক ইটভাটা মালিকের মাথায় হাত উঠেছে। বিশেষ করে যারা ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ইট কাটাতে গিয়েছেন তাদেরকে দুর্গতির শেষ নেই। লাভ তো দূরের কথা শ্রমিকদের কিভাবে মজুরি দেবেন তা নিয়ে তাদের সংশয়ের শেষ নেই।

ভাটা মালিকরা জানান, হঠাৎ বৃষ্টির ফলে জেলার সরকারি-বেসরকারি উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ইটের সংকট দেখা দিতে পারে। তাতে দেখা দিতে পারে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি।

এদিকে ইট তৈরির কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানালেন, হাড়ভাঙ্গা খাটুনি দিয়ে যে ইটগুলো তৈরি করা হয়েছিল তা সম্পূর্ণ ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতি হাজার কাচাঁ ইট তৈরিতে খরচ এক হাজার টাকা। আবার নষ্ট ইট গুলো সরাতে খরচ হবে হাজারে এক হাজার টাকা। সব মিলিয়ে মালিক পক্ষের সঙ্গে তারাও পড়েছেন উভয় সংকটে।

তারা আরো জানান, বৃষ্টিপাতের ফলে সম্পূর্ণরূপে আমাদের কাজ বন্ধ রয়েছে। কয় দিন বন্ধ থাকবে তাও জানা নেই। এতে করে যে কয়দিন কাজ বন্ধ থাকবে সে দিনগুলোতে কোন বেতন পাবনা।

(আরকে/এসপি/মার্চ ০২, ২০১৯)