আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বালাকোটে চলতি সপ্তাহে বিমান হামলা চালিয়ে ‘উল্লেখযোগ্যসংখ্যক জঙ্গি হত্যার’ দাবি করেছে ভারত। তবে ওই হামলায় হতাহতের ব্যাপারে কোনো প্রমাণ প্রকাশ করা হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন সরকার।

পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে ভারতের বিমান বাহিনীর এই হামলা নিয়ে প্রতিবেশি দেশ দুটির মাঝে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এমনকি অভিযানে হতাহতের সংখ্যা নিয়েও দেখা দিয়েছে সন্দেহ। পাকিস্তান বলছে, ভারতের বিমান হামলায় কোনো হতাহত হয়নি। এদিকে, ভারতের শীর্ষ স্থানীয় একজন মন্ত্রী বলেছেন, সরকার ওই অভিযানে হতাহতের ব্যাপারে কোনো ধরনের প্রমাণ প্রকাশ করবে না।

তবে পাক-ভারত উত্তেজনার পারদ গলতে শুরু করে শনিবার। শুক্রবার ভারতীয় বিমান বাহিনীর আটক উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে ফেরত দেয় পাকিস্তান। পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই দেশের মাঝে আরেকটি যুদ্ধ ঠেকাতে বিশ্ব নেতাদের ব্যাপক প্রচেষ্টার পর শান্ত হয় পাক-ভারত পরিস্থিতি।

এদিকে, দুই দেশের কর্মকর্তারা বলেছেন, পরিস্থিতি শান্ত হলেও এখনো শূন্য রেখায় উভয় পক্ষের গোলাগুলি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে ঢুকে যুদ্ধবিমান থেকে হামলা চালায় ভারতীয় বিমানবাহিনী। নয়াদিল্লি বলছে, বালাকোটে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর ঘাঁটিতে অভিযান চালিয়েছে তারা।

তবে এ ধরনের কোনো ঘাঁটি সেখানে নেই বলে দাবি করে ভারতের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামাবাদ। এমনকি স্থানীয়রাও ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স একই তথ্য দিয়েছেন। প্রতিশোধ নিতে বুধবার পাকিস্তান বিমানবাহিনী আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর স্থাপনায় হামলা চালায়।

পাকিস্তান বলছে, ভারতীয় বোমা পাহাড়ী এলাকায় আঘাত হেনেছে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি। ভারতের বিরোধী দলীয় বেশ কয়েকজন নেতা বালাকোটে ওই অভিযানের পক্ষে প্রমাণ প্রকাশ করার জন্য ক্ষমতাসীন মোদি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক সময়ের ঘনিষ্ঠ লেফটেন্যান্ট ও দেশটির অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছেন, কোনো নিরাপত্তা সংস্থাই তাদের অভিযানের ব্যাপারে তথ্য প্রকাশ করে না। এটি খুবই দায়িত্বহীন একটি স্টান্ড। ডন।

(ওএস/এসপি/মার্চ ০৩, ২০১৯)