স্বাস্থ্য ডেস্ক : অনেকেই আছেন যাদের মুখে ঘন ঘন ঘা হয়। এই ঘা কে বলে এপথাস। এটি মুখের ভেতরে সবখানেই হতে পারে। যদিও পুরুষদের তুলনায় নারীদেরই এটি বেশি হয়ে থাকে। আর যাদের বয়স ১০ থেকে শুরু করে ৪০ বছরের মধ্যে তারাই বেশি ভোগেন এই অসুখে। আবার বয়স বাড়ার সাথে সাথে ঘন ঘন হওয়াটাও কমে যায়। তবে সাধারণত চিকিৎসা ছাড়া ১০-১৪ দিনের মধ্যে এটি ভাল হয়ে যায়।

মুখের ঘা বা এপথাস আলসারের কারণ

এই অসুখের সঠিক কোনো কারণ নেই আবার কোনো ইনফেকশনের জন্যও এটি হয় না। তবে অন্য কিছু সমস্যা এর জন্য দায়ী।

কৃত্তিম দাঁতের পাটি ঠিক ভাবে ফিট না হলে বা অসমান টুথব্রাশের আঘাতে ঘা হতে পারে।

এই ধরনের ঘা কারো কারো পিরিয়ড হওয়ার আগে হয়, কারো কারো পিরিয়ডের পরে হতে পারে।

অনেক সময়ে সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিলে তারপর হতে পারে এমন ঘা। আয়রন, ভিটামিন বি-১২ ও ফলিক এসিড এর অভাবে ঘা হতে পারে।

কখনো কখনো কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় এমন ঘা দেখা দেয়। যেমন অরাল নিকোটিন থেরাপি, নিকোরানডিল, এন্টি ইনফ্লেমেটরি ড্রাগ ইত্যাদি। এমন কি এলার্জির কারণেও হতে পারে।

মানসিক চাপ, উদ্বিগ্নতার জন্য হতে পারে। আবার বংশগত কারণেও হতে পারে।

ক্রন’স ডিজিজ, সিলিয়াক ডিজিজ, এইচ আই ভি ইনফেকশনে আক্রান্ত মানুষের মুখের ঘা হতে পারে। কিন্তু এই ঘা-গুলো এপথাস ধরনের নাও হতে পারে।

এপথাস আলসার হলে যা মেনে চলবেন

নরম ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে। দাঁত ফিটিং ঠিকমত না হলে দাঁতের চিকিৎসকের কাছে যান। কোনো ওষুধের প্রভাবে এমন হলে ওষুধ বদলাতে হবে।

পানীয় পান করলে স্ট্র ব্যবহার করতে হবে। যাতে মুখের সামনের অংশের ঘা তে না লাগে। গরম পানীয় স্ট্র দিয়ে পান না করাই ভাল, এতে গলা জ্বলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

মসলাদার খাবার, অম্ল জাতীয় পানি, খুব লবণাক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এতে ব্যথা আরো বেড়ে যায়।

(ওএস/এসপি/মার্চ ০৩, ২০১৯)