রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানা পুলিশ অবশেষে পুকুরে পাওয়া রাহেলা বেগমের লাশের হত্যার আলামত পেয়েছে। পরে রাহেলার মেয়ে কহিনুর বেগম বাদী হয়ে রাজারহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৪মার্চ সোমবার দুপুরেও পুলিশ হত্যার মোটিভ উদ্ধার ও ঘাতকদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার রাজারহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ প্রাণপতি গ্রামের মৃত আঃ মজিদের কন্যা রাহেলা বেগম(৫০) এর লাশ গত ৩ মার্চ রোববার সকালে প্রতিবেশীরা ওই এলাকার বাঁশ ঝাড়ের পাশের পুকুরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে রাজারহাট থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাহেলা বেগমের লাশ উদ্ধার করে। ওই সময় পুলিশের সুরতহালে রাহেলার শরীরে কোন জখমের চিহৃ পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে এলাকাবাসীদের লাশ দাফনের জন্য বলে। কিন্তু ওই দিন বিকালে রাহেলার মেয়ে কহিনুর বেগম ও ভাগিনা আঃ হালিম রাহেলার লাশের গোসল করাতে গেলে লাশের মাথার পিছনের বামদিকে ফেঁটে যাওয়া ও একটি চোখে রক্ত জমাট বাঁধতে দেখে এলাকাবাসীদের বিষয়টি জানায়। পরে এলাকাবাসী রাজারহাট থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠিয়ে দেয়। এঘটনায় হত্যাকান্ডের শিকার রাহেলা বেগমের মেয়ে কহিনুর বেগম বাদী হয়ে রাজারহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নম্বর-৫।

রাহেলার ভাগিনা আঃ হালিম জানান, গোসল করার সময় লাশের মাথা পিছনে ফাঁটা দিয়ে রক্ত ঝড়ছে দেখতে পাওয়া যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানায়, রাহেলা ২মার্চ রাতে পাশ্ববর্তী একটি অনুষ্ঠানে খিঁচুরী খেয়ে ছিল। এর পর থেকে তাকে দেখা যায়নি। ৩মার্চ সকালে তার ভাসমান লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
৪মার্চ সোমবার রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ কৃষ্ণ কুমার সরকার বলেন, লাশ পানিতে থাকায় সুরতহাল রিপোর্টে আলামত পাওয়া যায় নাই। পরে দীর্ঘক্ষণ লাশ উপরে থাকায় রাহেলার মাথায় কাটা চিহৃ পাওয়া যায়। তাই লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘাতকদের চিহিৃত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

(পিএমএস/এসপি/মার্চ ০৪, ২০১৯)