রানীশংকৈল (ঠাকুরগাও) প্রতিনিধি : ২০১৭-২০১৮ চক্রের দুস্থ মহিলাদের উন্নয়ন(ভিজিডি) কর্মসুচির  ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের সুবিধাভোগীদের সঞ্চয়ের মুনাফার টাকা কেটে নিলো উপজেলা মিহলা বিষয়ক বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

গত রবিবার ৪ নং লেহেম্বা ইউনিয়ন পরিষদে দুঃস্থ মহিলাদের মুনাফাসহ সঞ্চয়কৃত টাকা ফেরত উৎসব কালে এ অভিযোগের সত্যতা মিলে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষক আশরাফ আলীসহ কয়েকজন মিলে মহিলাদের নাম ধরে ধরে ডেকে তাদের টাকা ফেরত দিচ্ছে। তবে চুক্তিনুযায়ী সুবিধাভোগী মহিলাদের আসল টাকায় কত টাকা মুনাফা দেওয়া হয়েছে তা কোন কিছুই না বলে ইচ্ছেমত সঞ্চয়ের টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে।

সুবিধাভোগী মহিলা মুংলি রানী সঞ্চয়ের টাকা ও মুনাফাসহ মোট টাকা হয়েছে ৪৫০৩ টাকা তবে তিনি পেয়েছেন ৪৪৮০ টাকা। একই ভাবে তানজিলা স্বামী উনসাহাক তার মুনাফাসহ মোট টাকা ২০৫০ তিনি পেয়েছেন ১৮৭০ শরীফা স্বামী আজিজুর তার জমা ও মুনাফাসহ টাকা ৩৮৭০ তিনি পেয়েছেন ৩৮৫০ মহেসনা স্বামী সলেমান তার টাকা ৩৯৭৮ তিনি পেয়েছেন ৩৯৫০ টাকা এভাবে করে প্রত্যেক সুবিধাভোগীর কাছে গড়ে ২০ টাকা হারে কেটে নেওয়া হচ্ছে।

আবার পরিষদ হলরুম থেকে টাকা নিয়ে বের হওয়ার সময় গেটে ১০ টাকা করে নিচ্ছেন গ্রাম্য পুলিশ। সে হিসেবে গ্রাম পুলিশ ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের লোকজন মিলে গড়ে ৩০ টাকা করে কেটে নিলে ২৬৫৩ জন সুবিধাভোগীদের প্রায় ৭৯৫৯০ টাকা গোচ্ছা যাচ্ছে।

মহিলা বিষয়ক সুত্রে জানা যায়, খাদ্য শষ্যর আওতায় সুবিধাভোগী মহিলাদের ভাগ্য উন্নয়নে ২০১৭-২০১৮ চক্রের ২৬৫৩ জন মহিলা প্রতি মাসে দুইশত টাকা হারে জমা করবে। মেয়াদ শেষে ব্যাংকের নিয়মনুযায়ী মুনাফাসহ মোট টাকা ফেরত দেওয়ার বিধান রয়েছে।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আবিদা সুলতানা গতকাল মুঠোফোনে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন এ যাবৎ তিনটি ইউনিয়নে টাকা বিতরণ করা হয়েছে এমন অভিযোগ শুনিনি। তবে রেভিনিউ টিকিটের জন্য ১০ টাকা করে নেওয়ার বিধান রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সোহাগ চন্দ্র সাহা গতকাল মুঠোফোনে বলেন,এভাবে তো টাকা নেওয়ার কথা না বিষয়টি আমি দেখছি।

(কেএএস/এসপি/মার্চ ০৪, ২০১৯)