নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় আগামী ১৮ মার্চ ২য় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীরা কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন। 

চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ ও মহিলা প্রার্থীদের পদচারণায় ও মাইকিং এ মুখরিত হয়ে ওঠেছে গ্রাম, পাড়া-মহল্লা। পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে রাস্তার দু’পাশ গাছ, হোটেল ও বিভিন্ন দেয়াল। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, প্রার্থীরা ততই নির্বাচনী মাঠে দাপিয়ে ফিরছেন। তারা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনাসহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিতে ভুল করছেন না। প্রত্যেক প্রার্থীই ভোটারদের নিজেদের পক্ষে আনার জন্য মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। ভোট এখন এলাকার মানুষের প্রধান আলোচনা। চায়ের দোকান, মুদির দোকান, হোটেল, রাস্তাঘাট , বাড়ি ঘর সর্বত্রই আলোচনার ঝড় বইছে। কে চেয়ারম্যান হবেন? হলে কি করবেন, জনগণের কতটুকু উপকারে আসবেন, কে কাকে পছন্দ করবেন, কে বাদ যাচ্ছেন, কে ফেল করছেন , কেউ সাফাই গাাইতে কম করছেন না। প্রতীক পাওয়ার পর থেকে প্রার্থীদের ঘুম যেন হারাম হয়ে গেছে । কাক ডাকা ভোর সকাল থেকে ছুটছেন ভোটের পেছনে। চলছে গভীর রাত পর্যন্ত ফিস ফিস কথা বার্তা।

এদিকে ভোটারদের মধ্যে বেশ কিছু আলোচনা শোনা যাচ্ছে। ভোট কেন্দ্রে যাব কি যাব না? ভোট সঠিক হবে না ব্যালট পেপার কাটা হবে? এবার ধামইরহাট উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন, আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক আজাহার আলী মন্ডল ( নৌকা), বিদ্রোহী প্রার্থী স্বতন্ত্র আনম আফজাল হোসেন (কাপ পিরিচ), স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ হানজালা (আনারস), জাতীয় পার্টির নেতা হান্না দেওয়ান (লাঙ্গল) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ডালিম (ঘোড়া)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে মহিলা আওয়ামীলীগ আঞ্জুয়ারা খাতুন (হাঁস), শাহিনা আকতার (ফুটবল), তোমা আকতার (পদ্মফুল) সাবিনা এক্কা (কলস)।

এছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যানের পদে যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সোহেল রানা ( উড়োজাহাজ), সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি সেলিম মোঃ রাজু (টিয়াপাখি) সাবেক ছাত্র নেতা আব্দুল হাই দুলাল (তালাচাবি) ও নুরুল ইসলাম (টিউবওয়েল)। ভোটাররা বলছেন, নৌকার সঙ্গে কাপ পিরিচের লড়াই, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাঁস ও ফুটবলের লড়াই এবং পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে উড়োজাহাজ ও টিয়াপাখির মধ্যে লড়াই হবে। এ উপজেলায় ৮ ইউনিয়ন, ১ পৌরসভা মিলে মোট ভোটার ১ লাখ ৪২ হাজার ৬৯২ জন। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ৭১ হাজার ৩৩৩ জন এবং পুরুষ ভোটার ৭১ হাজার ৩৫৯ জন। ভোট কেন্দ্র ৫০টি। বুথ ২৭৮টি। প্রিজাইডিং অফিসার ৫৩জন, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার ৪১৫ জন এবং পোলিং অফিসার ৮৩৪ জন। আগামী ১৮ মার্চ ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্বাচন অফিস সূত্র নিশ্চিত করেছে।

(বিএম/এসপি/মার্চ ০৪, ২০১৯)