নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর নিয়ামতপুরে পুকুরে মাছ মারাকে কেন্দ্র করে তিন নারিসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৯জন আহত হয়েছে। ২ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

জানা গেছে, সোমবার সকাল ৭টায় উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নের বুধুরিয়া ডাংগাপাড়া গ্রামে দুইটি পুকুরের মাছ মারাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। এতে এক পক্ষের ৫জন এবং অপর পক্ষের ৪জন আহত হয়। আহতরা হলেন (১) মোঃ সাজ্জাদ হোসেন (৩৫), পিতা আব্দুল গণি (২) মোজাম্মেল হক (৫৫) পিতা মৃত কহির উদ্দন (৩) আব্দুর রাজ্জাক (৪০), পিতা আব্দুল গণি (৪) সাহিদা (৪০), স্বামী মোঃ মোজাম্মেল হক (৫) আরমিনা (২৫) স্বামী লতিফর রহমান, সকলের বাড়ি বুধুরিয়া ডাংগাপাড়া। অপর পক্ষের যে ৪জন আহত হন তারা হলেন, (১) আশাফুল ইসলাম (৫০), পিতা আব্দুল জব্বার, (২) ছইফুল্লাহ (৩৫) পিতা মোজাফফর হোসেন, (৩) ্অজিজুল ইসলাম (৪০), পিতা সোলাইমান এবং (৪) আলমগীর হোসেন (৩২) পিতা ওমর আলী। আহত আজিজুল হক ও আলমগীর হোসেনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

বুধুরিয়া ডাংগাপাড়ার মৃত কহির উদ্দিনের ছেলে মোজাহার হোসেন বলেন, আমরা পূর্ব পুরুষ থেকেই দুইটি পুকুর ভোগ দখল করে আসছি। কিন্তু আমার গ্রামেরই কছিমুদ্দিনের ছেলে লালচাঁন (৪৫), মৃত জব্বারের ছেলে আশরাফ (৫০), মৃত দিল মোহাম্মাদের ছেলে আস মোহাম্মাদ (৬০), মৃত ফুল মোহাম্মাদের ছেলে ্আফসের (৬০), আশরাফের ছেলে মিলনসহ ৮০/৯০জন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জোর পূর্বক পুকুরে মাছ মারার চেষ্টা করে। আমরা বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের ওপর আক্রমন করে আমাদের ৫জনকে গুরুতর আহত করে।

এ বিষয়ে নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তোরিকুল ইসলাম বলেন, আমি জেনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(বিএম/এসপি/মার্চ ০৪, ২০১৯)