মানিক বৈরাগী


অরুন্ধতী রায় কে এনে বিব্রত করা, শহীদুল আলম গং এর একটি পাকি কৌশল। এ কৌশলে পা দিয়েছেন অরুন্ধুতী রায়।যেমন পেন ইন্টারন্যাশালে স্কলারশিপ নিয়েছিলেন আমাদের প্রাণের ধন হুমায়ুন আজাদ।অতঃপর আমরা তাকে হারালাম। হুমায়ুন আজাদ কে যখন কুপানো হয় আজকের আয়োজকেরা হেসেছিলেন।

অভিজিৎ রায়, দ্বীপনকে হত্যার পর ফরহাদ মজহার লিখেন "বিজ্ঞান চাই বিজ্ঞানবাদীতা চাইনা" এরাই তো মিলেমিশে শহীদুল আলম।

ড.জাফর ইকবাল কে যখন কোপানো হয় তখন শহীদুল আলম, ফরহাদ মজহার, রেহনুমারা থাকেন নিরব। নিরব থাকেন কিছ বাম, উলটা যুক্তি খাড়া করেন হত্যা কুপাকুপির জন্য। এরাই এখন অরুন্ধুতী প্রেমে মত্ত। শহিদুল আলম রেহনুমারা কখনো তসলিমা নাসরিন কে দেশে আনার জন্য টোশব্দও করেনি।

কবি দাউদ হায়দার কে দেশে ফেরানোর জন্য ক'জন বিপ্লবী বিবৃতি দিয়েছে। তসলিমা নাসরিনের কল্লা নেয়ার মিছিলের ছবি তুলতেন তারা। অরুন্ধতী কে এদেশে কয়জনে চেনে পড়েছে? ক'টি বই অনুবাদ হয়েছে এদেশে? রাজাকারের কন্যা জামাইয়ের কুটবুদ্ধি আমরা বুঝি, কিছু কই না।

বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধে মাওবাদীদের বিশাল একটি অংশ পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। অনেক বড় বড় কমরেড যুদ্ধাপরাধের সাথেও সম্পৃক্ত হন। এরা আবার স্বাধীনতার পর কল্লা কাটা রাজনীতি শুরু করেছিল।
৭৫র পরবর্তী অনেক বড় মার্কসবাদী -মাওবাদী খন্দকার মুস্তাকের স্ক্রিপ্ট রাইটার হন। অনেকেই বাংলা একাডেমী র পুরুষ্কার নেন। এরা আবার পরবর্তী জিয়া এরশাদেও ভিড়ে যান। এদের উচ্ছিষ্টাংশ খালেদা নিজামীর সাথেও হাত মেলান। এরাই এবার বুদ্ধি খেলে অরুন্ধতীর জনপ্রিয়তা কাজে লাগাতে চান।

সাহিত্যের অপরাজনীতি কাকে বলে তারা জানে।কখন কোন সময়ে কাকে কিভাবে ফান্দে ফেলাতে হয়।
তারা অরুন্ধতী কে আনলো, অরুন্ধতী ও চলে এলেন। দেখা গেলো মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শহীদুল আলম স্বরুপে হাজির হলেন। এরাই এখন মাতম তুলে অরুন্ধতীর জন্যে। ইনবক্সে কয়েকজনের কাছে জানতে চাইলাম অরুন্ধুতীর কটি বই এর নাম জানেন। বলতে পারেনা। সেই একটিই বই যেটি আমিও জানি। পড়েছেন কিনা জানতে চাইলে বলে দেখেছি, অহ কিনেছি, পড়বো এ হলো অরুন্ধতীর ভক্ত, বাক স্বাধীনতার আন্দোলনের হাতিয়ার। মহামতিরাও কিছু কিছু ভুল করেন মোহে পড়ে আবেগে।

শহীদুল আলমেরা অরুন্ধতীর সামনে মাওবাদী ফটোগ্রাফার, চিত্র নির্মাতা সাজে আর বাংলাদেশে জঙ্গী সন্ত্রাসের চিন্তা বিস্তার করে। বাংলাদেশের প্রতি, বাংলা ভাষার সাহিত্যের প্রতি আপনার আবেগ অনুভুতিকে যুদ্ধাপরাধী র জামাই শহীদুল আলমের মতো পঁচা শামুকে পা কাটার কারনে।

অরুন্ধতী ক্ষমা করো আমায়। আপনার এই বৈরী ও বিব্রতকর পরিস্থিতি আমরা কখনো চাইনা। এই স্বাধীনতার মাসে আমাদের মুক্তিচেতনাকে রাজাকারের ধারক বাহকেররা আপনাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আমরাও বিব্রতবোধ করছি।

আমি জানিনা আপনি আপনার ভারতে তসলিমা নাসরিনের জন্য, তার নিরাপত্তার জন্য কি উদ্যোগ নিয়েছেন। হাজার চুরাশীর মা মহাশ্বেতা দেবীকে আমরা শ্রদ্ধা করি। তিনিও মাওবাদী চিন্তাধারার।
আপনি বাংলাদেশে এসেছেন এটাই আমাদের অহংকার, গৌরবের। কিন্ত যারা আপনাকে এনেছেন এরা কুচক্রী, পাকিস্তান বংশোদ্ভূত বাংলাদেশী।

মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় মুক্তির মাসে পাকি শহীদুলের দেশ বিরোধী কোন ষড়যন্ত্রে অরুন্ধতীকে পড়তে দেয়া হবেনা। অরুন্ধুতী রায়ের কথা বলার অধিকারও চাই, তাকে সামনে দিয়ে নেপত্যের ষড়যন্ত্রও চাইনা।
অরুন্ধুতী রায় কথা বলবেন মন খোলে আমরা অবশ্যই তা চাই।

লেখক : কবি।