গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সরকারী খাস জলমহাল ইজারার আবেদন পত্র দাখিলকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইট পাটকেল নিক্ষেপ, দোকান ভাংচুর, সংঘর্ষ ও হামলায় সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের ১৪ জন আহত হয়েছে। 

সংঘর্ষ ঠেকাতে পুলিশ ৮১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জলমহাল ইজারার আবেদন পত্র দাখিল স্থগিত ঘোষনা করেন।

জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অবস্থিত ২০ একর পর্যন্ত ১০৬ টি সরকারী খাস জলমহাল ইজারার আবেদন পত্র দাখিলকে কেন্দ্র করে আজ বুধবার সকাল থেকেই উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। এই উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আবেদন পত্র দাখিলকে কেন্দ্র করে উপজেলা পরিষদ চত্বরের এক পূব পার্শ্বে একপক্ষ ও পশ্চিম পার্শ্বে অপর পক্ষের কর্মীসমর্থকরা লাঠিসোটা, রামদা, ছোরাসহ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান গ্রহণ করে।

একপর্যায়ে সকাল ১১টার দিকে আবেদন পত্র দাখিলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি, হাতাহাতির পর ধাওয়া পাটা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষ শুরু হয় এবং এক পক্ষ লাঠিসোটা নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে নির্বাচন অফিসের পার্শ্বে নারায়নের চা স্টলসহ ৩টি স্টল ও ১টি ক্লাব ঘর ভাংচুর করে। সংঘর্ষ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, লাঠিচার্জ এবং হামলায় আওয়ামীলীগ নেতা সাংবাদিক মোয়াজেম সহ কমপক্ষে ১৪ ব্যক্তি আহত হয়েছে। আহদের মধ্যে ৩জনকে গোবিন্দগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ সংঘর্ষ ঠেকাতে ৮১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামকৃষ্ণ বর্মন জানান সরকারী খাস জলমহাল ইজারার আবেদন পত্র দাখিল স্থগিত ঘোষনা করা হয়েছে। পরবর্তীতে আবেদনের তারিখ জানানো হবে।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি(তদন্ত) আফজাল হোসেন জানান সংঘর্ষ ঠেকাতে ৮১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। গাইবান্ধা পুলিশের এএসপি (সি সার্কেল) মেহেদী হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

(এসআরডি/এসপি/মার্চ ০৬, ২০১৯)