স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্ব ফুটবলে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের জনপ্রিয়তা অনেক। ইউরোপিয়ান অঞ্চলের দেশগুলোকে নিয়ে আয়োজিত এ টুর্নামেন্ট আবেদন বিশ্বকাপের পরেই জায়গা পায় অনেকের মনে। এবার ফুটবলের মতো ক্রিকেটেও ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ তথা ইউরো টি-টোয়েন্টি লিগের আয়োজন করতে যাচ্ছে ইউরোপের তিন দেশ।

আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশ আয়ারল্যান্ড এবং দুই সহযোগী দেশ নেদারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড মিলে আয়োজন করতে যাচ্ছে এই ইউরো টি-টোয়েন্টি লিগের। যা মাঠে গড়াবে আগামী ৩০ আগস্ট থেকে। টি-টোয়েন্টি লিগের ইতিহাসের এবারই প্রথম তিন দেশ মিলে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের নজির দেখাবে।

আয়োজক তিন দেশের ছয় দল নিয়ে হবে এই ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগ। আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্ট ও ডাবলিন এবং স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গ ও গ্লাসগো থেকে থাকবে চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। তবে এখনো পর্যন্ত নেদারল্যান্ড তাদের দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি ঘোষণা করেনি।

তবে নেদারল্যান্ডের আমস্টালভিনের ভিআরএ মাঠটি হবে অন্যতম একটি ভেন্যু, তা নিশ্চিত করেছে ডাচ ক্রিকেট বোর্ড। এছাড়া রটারডাম কিংবা দ্য হাগ হতে পারে নেদারল্যান্ডের অন্য একটি ভেন্যু।

এতদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ দেখেই অভ্যস্ত ক্রিকেট প্রেমীরা। যেমন ভারতের আইপিএল, বাংলাদেশের বিপিএল, অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিপিএল টি-টোয়েন্ট লিগ। কিন্তু এবারই প্রথমবারের মতো তিন দেশ মিলে একটি লিগ আয়োজনকে অভিনব একটি উদ্যোগ হিসেবেই দেখছেন ক্রিকেট স্কটল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী ম্যালকম ক্যানন।

তিনি বলেন, আমার মনে হয় তিন দেশ মিলে একটি লিগ হওয়ায় এটি অন্য সব টুর্নামেন্ট থেকে আলাদা হতে যাচ্ছে। তবে আমি মনে করি স্কটিশ ফ্যানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো দেশের সমর্থকদের কাছে উত্তেজনাটা পৌঁছে দেয়া। দেশ এবং দেশের বাইরে টেলিভিশনের সম্প্রচারিত হবে বিধায় এটি সব ক্রিকেট ভক্তদের দ্বারে পৌঁছে যাবে বলেই আমার বিশ্বাস।

এদিকে এরই মধ্যে প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলা হয়েছে টুর্নামেন্টের নিয়মকানুনও। অংশগ্রহণকারী ৬টি দল নিজেদের স্কোয়াডে রাখতে পারবে ১৬ জন করে খেলোয়াড়। যেখানে ৯ জন থাকবে তাদের স্থানীয় ক্রিকেটার, বাকি ৭ জন নিতে পারবে বাইরে থেকে। তবে মক্যাচের মূল একাদশে ৬ জন স্থানীয় ক্রিকেটার রাখা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন আয়োজকরা। এখনো পর্যন্ত ঠিক করা হয়নি নিলাম নাকি ড্রাফটের মাধ্যমে হবে দলগঠন।

রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে আয়োজিত হবে টুর্নামেন্টের প্রথম পর্ব। যেখানে সব দলগুলো একে অপরের বিপক্ষে হোম এন্ড এওয়ে পদ্ধতিতে খেলবে ১০টি করে ম্যাচ। পরে সেরা ৪ দল নিয়ে হবে সেমিফাইনাল এবং সবশেষে শিরোপার লড়াই।

(ওএস/এসপি/মার্চ ০৭, ২০১৯)