নীল আইচ, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) : তৃণমূল পর্যায়ে বিশেষতঃ দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিতদের দোরগোড়ায় মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ৪২টি কমিউনিটি ক্লিনিক। প্রায় ৬ হাজার লোকের জন্য সারা দেশের ন্যায় ঈশ্বরগঞ্জেও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো স্থাপন করা হয় ১৯৯৮ সালের দিকে। পরবর্তী পর্যায়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে বন্ধ হয়ে যায় এসব ক্লিনিক।

দীর্ঘ আট বছর বন্ধ থাকার কারনে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হয় গ্রামের সাধারণ মানুষ। পুনরায় চালু হওয়ার পর থেকে জনগণের সাথে সম্পৃক্ত থেকে সিএইচসিপিগণ অভীষ্ট লক্ষে পৌঁছার জন্য সেবা দিয়ে যাচ্ছেন গ্রামের মানুষের। বর্তমানে মন্ত্রনালয় থেকে ২৭ রকমের ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে যা দিয়ে সকাল ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন কর্মরত কর্মকর্তাগণ। সিএইচসিপির পাশাপাশি স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারীরাও ক্লিনিকগুলোতে সেবা দিচ্ছেন। প্রতিটি ক্লিনিকে প্রতিদিন গড়ে ২০ জনের মতো রোগী সেবা গ্রহণ করছে। এর মধ্যে গর্ভবতী ও শিশুদের সংখ্যাই বেশি। কিন্তু সিএইচসিপিগণ দীর্ঘদিন যাবত জনসাধারণের সেবা দিয়ে আসলেও নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না বলে তাদের অভিযোগ। তাই তাদের চাকুরি রাজস্ব খাতের অধীনে স্থানান্তর করা হলে সেবার মান আরো বৃদ্ধি হবে বলেই সকলের ধারণা। এছাড়াও জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে বেশ কয়েকটি ক্লিনিক। এসব ক্লিনিক মেরামত করা জরুরি প্রয়োজন।

সেবা নিতে আসা হালিমা (৬০) বলেন, ক্লিনিক চালু থাকার কারনে আমরা বিনা পয়সায় ওষুধ পাচ্ছি। ছোট খাটো রোগের ওষুধের জন্য দূরে যেতে হয় না।

উপজেলার ধনিয়াকান্দি কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রামের দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় কমিউনিটি ক্লিনিক এখন গরীবের হাসপাতাল নামে পরিচিত হয়েছে।

(এন/এসপি/মার্চ ০৭, ২০১৯)