সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) : নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের খালিজুড়া গ্রামের বাড়ির সীমানাকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য মাতাব্বর গণের সামনেই প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দেবল দেবনাথের ওপর। ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর দেবলের বসত ঘরে ঢুকে মৃত সোনাফর মিয়ার ছেলে রইছ উদ্দিন ও হাবিবুর রহমান গং আলমারী ও সুকেস থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়।

এ ঘটনাটি ঘটে গত মাসের ১৮ ফেব্রুয়ারী। পরদিন ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ করে কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন দেবল। এর প্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই হারুন অর রশিদ তদন্তে গিয়ে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা খুঁজে পায়। এলাকাবাসী জানায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আলী আহমদ ভূঞা প্রভাব খাটিয়ে মামলাটি থানায় রেকর্ড করতে দিচ্ছিলেন না।

তিনি আপোষ মিমাংসার কথা বলে সময় অতিবাহিত করছিলেন। এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ দেবলের পরিবারের সদস্যরা সামাজিক ও আইনী বিচার কোনটাই না পেয়ে নানাবিদ হুমকীর মুখে পরেন। বুধবার সরেজমিন গেলে দেবলের মা প্রভাসিনি দেবনাথ ও স্ত্রী শিল্পী চৌধুরী ন্যাককার জনক ঘটনার বিবরন তুলে ধরেন। এলাকাবাসীও এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।

এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সমকাল সহ অনলাইন পত্রিকায়“১৬ দিনেও মামলা নেয়নি কেন্দুয়া থানা পুলিশ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। মামলার বাদী দেবল চন্দ্র দেবনাথ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে থানায় মামলা রেকর্ডের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে ডেকে পাঠানো হয়। পরে দুপুরের আগেই দেবল চন্দ্র দেবনাথের অভিযোগটি থানায় এফ.আই.আর হিসেবে রেকর্ড করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই হারুন অর রশিদ মামলা রেকর্ডের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মামলার আসামীদের গ্রেফতারে জোর চেষ্টা চলছে। এদিকে বুধবার কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বলেছিলেন, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতার মধ্যস্থতা মিমাংসায় ব্যর্থ হওয়ায় খুব তাড়াতাড়ি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সংবাদ প্রকাশের পর ওসি ইমারত হোসেন গাজী তার কথা রাখলেন। এজন্য দেবলের পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানানো হয় পুলিশকে।

(এসবি/এসপি/মার্চ ০৭, ২০১৯)