এনায়েত হোসেন রেজা : নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ২২তম কনভোকেশনের ঠিক পূর্বে কোন ধরনের কোন পূর্ব বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই ইন্জিনিয়ারিং অনুষদের সম্মানিত ডিন আশরাফ এম চৌধুরী এবং ইসিই বিভাগের চেয়ারম্যান এমডি সাজ্জাদ হোসেন নিজ নিজ পদ থেকে পদত্যাগ করেন, যা অনুষদের শিক্ষার্থীদের মাঝে সন্দেহ ও ক্ষোভের সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে ছাত্রছাত্রীরা এটা জানতে পারে যে, একজন ছাত্র, যার CGPA ১.৮, তাকে কনভোকেশনের অনুমতি দেয়ার জন্য অনুষদের সম্মানিত ডিন এবং চেয়ারম্যান মহোদয়কে চাপ প্রদান করা হয়েছিল, যা প্রতিষ্ঠানের নীতিমালার পুরোপুরি লঙ্ঘন।

এই অনৈতিক কাজে বাধা দেয়ায় সম্মানিত শিক্ষকদের বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করতে হয়েছে। এ খবর অনুষদের শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছালে তারা ক্ষোভে ফুঁসে উঠে। বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ, যেখান থেকে শিক্ষা লাভ করে দেশের ভবিষ্যতের আলোকিত নাগরিকরা, যা ভবিষ্যতে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে। সেই সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠেই এধরনের ঘটনা খুবই হতাশাজনক। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ ঘটনার একটি গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা সম্মানিত ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয়ের কাছ থেকে আশা করেছিল। কিন্তু তিনি এই বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হন নাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড চাপ দিয়ে ইসিই বিভাগের চেয়ারম্যান ও ইন্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিনকে পদত্যাগ করিয়েছেন বলে মনে করছেন সাধারণ ছাত্ররা।

শিক্ষার্থীদের অত্যন্ত প্রিয় ইন্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন আরশাদ এম চৌধুরী এবং ইসিই বিভাগের চেয়ারম্যান এমডি সাজ্জাদ হোসেনকে তাদের স্ব স্ব পদে পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দিয়েছে।

(এ/এসপি/মার্চ ০৮, ২০১৯)