স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : উপহাস করা হয় যাকে তাকে যদি রাজ মুকুট পরানো হয় তাহলে কেন হয়। এমনই ঘটনা ঘটেছে বিধ্বংসী এক স্পেলে লর্ডসে ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে তিন বছর পর বিদেশের মাটিতে নিজ দলের প্রথম জয় নিশ্চিত করার পর। মঙ্গলবার ভারতে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন ফাস্ট বোলার ইশান্ত শর্মা।

তিনি যদিও এক সময় উপহাসের পাত্র ছিলেন। ব্যাটিং লিজেন্ড শচিন টেন্ডুলকার সোমবার ইশান্ত শর্মার ক্যারিয়ার সেরা পারফরমেন্সকে 'ব্যতিক্রমধর্মী' হিসেবে অভিহিত করেছেন। আর সংবাদপত্রগুলোর ভাষায় ২৫ বছর বয়সী এ তারকা ভারতীয় আক্রমণের প্রধান হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার অধিকার অর্জন করেছেন।

ইংলিশ গণমাধ্যমে একজন আফগান যোদ্ধার সঙ্গে তুলনা করা ঝাঁকড়া চুলের লিক লিকে চেহারার শর্মা লর্ডসের দ্বিতীয় টেস্টের শেষ দিনে ৭৪ রানে ৭ উইকেট শিকার করলে ২০১১ সালের পর বিদেশের মাটিতে প্রথম জয় পায় ভারতীয় দল।
ক্রিকেটের মক্কা খ্যাত লর্ডসে ২৮ বছর পর ভারতের প্রথম জয় লাভের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ 'অসাধারণ জয়ের' নেতৃত্ব দেওয়া শর্মাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

নিজের টুইটারে মোদি লিখেছেন, 'এমন অসাধারণ পারফরমেন্সর জন্য আমরা আনন্দিত ও গর্বিত।' সম্প্রতি ভারতের ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়া শর্মার প্রশংসা করে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকাকে টেন্ডুলকার 'স্মরণীয় জয় এবং পুরো দেশের জন্য আনন্দের দিন' হিসেবে অভিহিত করেন। গত বছর অবসর নেওয়া টেন্ডুলকার বলেন, সে কঠোর পরিশ্রমী এবং অসাধারণ মেধাবী একজন খেলোয়াড়।

তার প্রতি সব সময়ই আমাদের বিশ্বাস ছিলো এবং আজ সে ছিলো স্রেফ ব্যতিক্রমী। টাইমস অব ইন্ডিয়া পত্রিকা লিখেছে, ভারতের সবচেয়ে হাস্যকর ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন তার সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিলেন। হিন্দুস্তান টাইমস লিখেছে শর্মা তার শর্ট বল সঠিকভাবে ব্যবহার করেছেন।

পত্রিকাটি আরো লিখেছে, ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা বিদেশের মাটিতে প্রায়ই শর্ট-পিচ বলে ধরাশায়ি হয়ে থাকেন। কিন্তু সোমবার শর্মা অনেক বড় বড় রাঘব বোয়ালদের পরাস্ত করেছেন। পত্রিকাটি লিখেছে, এটা ছিল অধিনায়ক ধোনির মাষ্টার প্ল্যান এবং শর্মা তা সঠিকভাবে কাজে লাগিয়েছেন।

এ জয়ের ফলে ধোনির ওপর চাপ কিছুটা হলেও কমবে। কেননা ব্যাটিং গ্রেট টেন্ডুলকার, ভিভিএস লক্ষণ এবং রাহুল দ্রাবিড়রা অবসর নেওয়ার পর দলের দুর্বল রেকর্ডের জন্য সমালোচনার মখে পড়া ধোনিকে অনেকেই সরিয়ে দেওয়ার কথা বলে আসছিলেন। মেইল টু ডে পত্রিকা লিখেছে, তারুণ্য নির্ভর দলটির আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে এবং ভবিষ্যতের জন্য ভারতের জন্য এ জয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

(ওএস/পি/জুলাই ২৩, ২০১৪)