রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : বেড়ানোর কথা বলে নিজের মোটর সাইকেলে খুলনায় গিয়েছিল সাতক্ষীরার হাবিবুর রহমান সবুজ ( ২৬) । তিন দিন পর তার  বস্তাবন্দী খন্ডিত লাশ পাওয়া গেছে খুলনাতেই। তবে স্বজনদের আশাঙ্কা ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জের ধরে বাড়ি থেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে সবুজকে।

তবে শুক্রবার সকালে সবুজের ফোন থেকে তাদের বাড়িতে একটি কল আসে। ফোনের ওই প্রান্ত থেকে বলা হয় ‘সবুজকে আমরা বেঁধে রেখেছি। ছয় লাখ টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে’। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।
এদিকে শুক্রবার সকালে সবুজের লাশ শনাক্ত করেছেন তার বাবা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ওমরাপাড়া গ্রামের আদুল হামিদ। সবুজ ঢাকায় লেখাপড়া করে। কয়েকদিন আগে ক্যান্সার আক্রান্ত মা জাহানারা খাতুনকে দেখতে বাড়ি এসেছিল সে।

তার বাবা জানান, মঙ্গলবার সকালে তার মাকে জানিয়ে নিজের মোটর সাইকেলে খুলনায় যায় সবুজ। পরদিন ফিরে আসার কথাও বলেছিল সে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ফিরে না আসায় তিনি বৃহষ্পতিবার সাতক্ষীরা সদর থানায় ২৯৩ নং ডায়েরী করেন। ওই রাতেই খুলনার ফারাজিপাড়া মোড়ে পলিথিনের বস্তায় মোড়ানো একটি ত্রিখন্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার বাবা তাকে নিজের ছেলে হাবিবুর রহমান সবুজ বলে শনাক্ত করেন । খুলনা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসনপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে সবুজের লাশ শুক্রবার বিকেলে তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

সবুজের বাবা আরও জানান বৃহস্পতিবার তার খোঁজ জানতে খুলনায় ফোন করা হলে এক ব্যক্তি নিজেকে সাদি পরিচয় দিয়ে ফোনটি রিসিভ করে জানায় ‘সবুজ মোস্তফা মামার সাথে যশোর গেছে’। এর পর থেকে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সবুজের বাবা আবদুল হামিদ আরও জানান তার ছেলের সাথে খুলনায় ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল । এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়। এই মামলায় কিছুদিন আগে তার ছেলে জেলও খেটেছিল। তিনি জানান ব্যবসার টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে তাকে খুলনায় কৌশলে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরও জানান, নিহত সবুজের লাশ শুক্রবার রাত সাতটার দিকে তার বাড়িতে আনা হয়েছে। রাতেই তার লাশ দাফন করা হবে বলে সবুজের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

(আরকে/এসপি/মার্চ ০৮, ২০১৯)