বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোংলা-ঘাষিয়াখালী আর্ন্তজাতিক নৌ চ্যানেলের ভরাট হয়ে যাওয়া সংযোগকারী খালের জায়গা নিয়ে শুক্রবার রাতে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছে। মোংলা ও রামপাল উপজেলার সীমান্তে সংগঠিত এ সংর্ঘষে আহতদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকা জুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

এলাকাবাসী জানায়, মোংলা-ঘাষিয়াখালী নদীর সংযোগকারী পুটিমারী খালটি বাগেরহাটের রামপাল ও মোংলা উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত। দীর্ঘদিনে পলি পড়ে খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় দু’পাড়ে গড়ে উঠেছে বসতবাড়ী। পানি উন্নয়ন বোর্ড সম্প্রতি সেই খাল খননের উদ্যোগ নিলে খাল দখল করে থাকা দু’পাড়ের লোকজনের বিরোধের সৃষ্টি হয়। খালের এক পাড় মোংলা উপজেলার সোনাইলতলা ইউনিয়নের সিকিসোনাইলতা গ্রামের লাগোয়া। অন্য পাড় রামপাল উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের সাতপুকুরিয়া-আড়য়াডাঙ্গী গ্রামের লাগোয়া। আর এই খাল ভরাটের জমি নিয়ে সাতপুকুরিয়া-আড়–য়াডাঙ্গীর লোকজনের সাথে মোংলার সিকিসোনাইলতলা লোকজনে বিরোধ চলে আসছে।

এই বিরোধের জের ধরেই শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুটিমারী খালের দুই পাড়ের বাসিন্দা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলো মোংলার সিকি সোনাইলতলা গ্রামের বেল্লাল ফকির, এনামুল ফকির, মুক্ত শেখ, নাজিম শেখ, দুখু শেখ, নাছিমা বেগম, তাছলিমা বেগম, সেলিনা বেগম, লিটু গাজী, কবির শেখ ও মানসুরা বেগম এবং রামপাল উপজেলার আডুয়াডাঙ্গা গ্রামের মো. শাহাবুদ্দিন, আনোয়ার বয়াতি, সোলাইমান ফকির, মো. আয়ুব আলী, সোলাইমান, দুলাল মোল্যা, মুক্ত মল্লিক।

বাগেরহাটের মোংলা-রামপাল সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. খায়রুল আলম বলেন, উভয় পক্ষের আহতদেরকে রামপালের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে খোজ খবর নিচ্ছেন। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(এসএকে/এসপি/মার্চ ০৯, ২০১৯)